ডিসেম্বরে ২টি শৈত্যপ্রবাহ
ডিসেম্বর মাসের শেষ ভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শনিবার সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শ্রীলংকা ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুরেভী’র প্রভাবে দেশের আকাশ আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক রয়েছে। ঝড় শেষ হয়ে গেলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কম রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আসবে না। ঘূর্ণিঝড় চলে গেলে মূলত ২০ তারিখের পরে শৈত্য প্রবাহ শুরু হবে। ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। মাসজুড়ে দেশের নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক এবং অন্যান্য বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১ নভেম্বর উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। ২ নভেম্বর এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেয়। ২২ নভেম্বর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় আরও একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। যা পর দিন একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। ২৩ নভেম্বর দুপুর ১২টায় এটি নিম্নচাপ এবং রাত ৮টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। গভীর নিম্নচাপটি পর দিন সকাল ৬টায় দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে (নিভার) পরিণত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। ২৬ নভেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে ঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু-পুডুটেরী উপকূল অতিক্রম করে।
নভেম্বর মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্য দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। ১৩ নভেম্বর চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৩ নভেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
Comments