স্ট্রাইকরেট নিয়ে ভাবছেন না তামিম
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তামিম ইকবাল রানে আছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাচ্ছেন রান। তবে এক ম্যাচ ছাড়া দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। থিতু হয়েও টানতে পারেননি ইনিংস, সেসব ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেটও যেন টি-টোয়েন্টির ধরণের নয়। তবে স্ট্রাইকরেটে নিয়ে একেবারেই চিন্তিত না ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক।
৫ ম্যাচে ৪৬.৭৫ গড়ে ১৮৭ রান করেছেন তামিম। তার স্ট্রাইকরেট ১১৬.৮৭। এরমধ্যে দুই ম্যাচে তার স্ট্রাইকরেট ছাড়িয়েছে ১০০। জেমকন খুলনার বিপক্ষে সব শেষ ম্যাচে ২১ বলে ১৫২.৩৮ স্ট্রাইকরেটে করেন ৩২ রান। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে এক ম্যাচে ৬১ বলে অপরাজিত ৭৭ করে জেতান দলকে। এছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে ১৫ বলে ১৫, ৩১ বলে ৩১, ৩২ বলে ৩২ রান করতে দেখা গেছে তাকে।
রোববার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন সেরে এই তারকা জানালেন, তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে ঘেঁটে দেখতে হবে পরিস্থিতি কি ছিল, দলের বাকিদের কি অবস্থা ছিল, ‘একটা জিনিস দেখতে হবে, আমার সঙ্গে যারা খেলছে তারা কি স্ট্রাইক রেটে খেলছে সেটাও আপনাকে খেয়াল করতে হবে। ৩০ বলে ৩০ রান করাটা আমি খারাপ কোন কিছু দেখি না যদি পরিস্থিতি ওইরকম থাকে। যেসময় আমরা ১৫০ তাড়া করছি তখন ৩টা উইকেট যদি পড়ে যায় এটা কঠিন ২০ বলে ৩০ রান, ৪০ রান ওই স্ট্রাইকরেটে খেলা।
তামিমের মতে স্ট্রাইকরেট মুখ্য হওয়া উচিত নয়। দলের পরিস্থিতি কী তা দেখতে হবে, দল জিতল কি হারল সেটাই বরং আসল, ‘গত ম্যাচে যদি দেখেন আমি দেড়শো স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছিলাম তখনও কিন্তু ৩২ রানে আউট হয়ে গিয়েছি। জিনিসটা এভাবে চিন্তা করা যেত, এ সময় না পেরে আরেকটু কিছু খেলাটা বড় করে সময় নিয়ে মারা যেত। স্ট্রাইকরেট বলেন, ৩০ রান বলেন প্রশ্ন সব সময় থাকবে। আপনারা সব সময় প্রশ্ন করবেন, এটা ভাল। ৪০ বলে ৪০ করে দল যদি জেতে এটা ভাল। আবার ১৫ বলে ৩০ করে যদি দল হারে তাহলে তো ভাল না। এটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। ‘
তবে রয়েসয়ে খেলেও দলকে স্বস্তির জায়গায় নিতে পারেননি তিনি। নিজের ব্যাটিংয়ে খুব একটা খেদ না থাকলেও থিতু হয়ে আউট হওয়া পোড়াচ্ছে তাকে, ‘আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টে ব্যাটিং যতটুকু করেছি ভালই করেছি । আর গত তিন ম্যাচে ৩০, ৩০ , ৩০ করে আউট হয়ে যাওয়া আমার থেকে অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে যে দলে খেলছি আমার পারফরম্যান্সটা ম্যাটার করে। ওই জায়গায় ৩০ করে আউট হয়ে গেলে বেসিক্যালি ক্রাইম। ওই ৩০ গুলো যদি ৫০/৬০ করতাম। তিনটার মধ্যে একটাও যদি করতাম তাহলেও ফলটা একটু অন্যরকম হতো।’
Comments