৮ ঘণ্টা পর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি চালু
ঘন কুয়াশার কারণে আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাত দেড়টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘কুয়াশার কারণে সহস্রাধিক যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে সাতটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়েছিল।’
‘ফেরিগুলোর মধ্যে কেবল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ফেরিতে ফগ লাইট রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, ‘তাও সেটি মানসম্মত না হওয়ায় ঘন কুয়াশায় চলাচলের উপযোগী নয়।’
বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ম্যানেজার জামিল শিকদার ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘গতরাত থেকে যানবাহন নিয়ে ফেরি কপোতী ঘাটে অপেক্ষা করছিল। কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি ঘাটেই অবস্থান করছিল।’
‘সকাল সাড়ে ৯টার পর শিমুলিয়ার উদ্দেশে ফেরিটি ছেড়ে গেছে’ বলে যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে এ নৌরুটে সাধারণত ১৫টি ফেরি চলাচল করে থাকে। তবে কয়েকদিন আগে তিনটি ফেরির ইঞ্জিন বিকলসহ বেশকিছু কারণে অকেজো হয়ে রয়েছে। এখন এই নৌরুটে ১০ থেকে ১২টির মতো ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাবাজার ঘাটে বর্তমানে তিন শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুর নূর তুষার ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, ‘কুয়াশা কমলে রায়পুরা, কিশোরী ফেরি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।’
‘শিমুলিয়া ঘাটে পারের জন্যে ৩০০ বেশি যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় শিগগির গাড়ির চাপ কমে যাবে।’
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ'র সহকারী পরিচালক মো. শাহদাত হোসেন বলেছেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে সকাল ৭টার দিকে লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল শুরু করে। কিন্তু, ঘন কুয়াশার কারণে তা বন্ধ ছিল। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ৮৭টি লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। পাশাপাশি, স্পিডবোটও একই সময় চলাচল করছে।
ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Comments