যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে মো. হালিম ঢালী (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পিরোজপুর
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে মো. হালিম ঢালী (৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক থাকায় আসামির অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য চলে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হালিমের প্রথম স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও বোন আমিরুন বেগমকে (৩২) মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

মো. হালিম ঢালী মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদ ঢালীর ছেলে।

যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হাসি বেগম ২০১৪ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। হাসি বেগম মঠবাড়িয়া উপজেলার সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার মেয়ে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে ২০১৩ সালে হাসিকে বিয়ে করেন হালিম। বিয়ের পর থেকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রথম স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও বোন আমিরুন বেগমের সহায়তায় প্রায়ই হাসিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন হালিম। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে হালিমের নির্যাতনে মারাত্মকভাবে আহত হন হাসি। এর তিন দিন পর তাকে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ মে হাসির মৃত্যু হয়।

আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১১ মে মঠবাড়িয়া থানায় হালিম, পিয়ারা ও আমিরুনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

Comments