কানাডাতেও অনুমোদন পেল ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন

যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনের পর কানাডাতেও অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্য ও বাহরাইনের পর কানাডাতেও অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন।

কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে সারাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করা হবে। এছাড়াও আগামী বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক কানাডিয়ান নাগরিক ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছে কানাডা সরকার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কানাডা। অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া শেষে আগামী এপ্রিল থেকে সাধারণ নাগরিকরা ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানা গেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কানাডা এখন পর্যন্ত ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো অবস্থানে রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শতভাগ জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে বলেন, ‘এটি কানাডিয়ানদের জন্য বেশ ভালো একটি দিন। আমরা আগামী সপ্তাহেই ৩০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাবো। বাকি ডোজগুলোও যথা সময়ে আসতে থাকবে। তবে আমাদেরকে এই শীতকালে বেশ কঠিন সময় পার করতে হবে।’

কানাডায় করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

টরেন্টোর পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নরম্যান লেভাইন বলেন, ‘একবার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলে তা কানাডা ও বিশ্ব অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হবে।’

যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ।

অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কানাডার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি সবসময়ই আছে। তারা এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে, আগে কোনো ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যাদের মারাত্মক শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তাদেরকে এখনই ভ্যাকসিন গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন কানাডার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago