শীতের কষ্টে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ

জীবিকার তাগিদে ঘন কুয়াশার মধ্যেও ঘর থেকে বের হয়েছেন লালমনিরহাটের এক ভ্যানচালক। ছবি: স্টার

শীত ও কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস যুক্ত হওয়ায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে দুর্ভোগ বেড়েছে দুস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের। ঠান্ডার প্রকোপ উপেক্ষা করে বাইরে বেরোনোই তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবাদি পশু পালনেও চরমভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বয়স্ক ও শিশুরা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন শীতজনিত নানা রোগে।

দুই জেলায় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলে ঠান্ডায় মানুষজনকে সহ্য করতে হচ্ছে নিদারুণ কষ্ট। শীত নিবারণে তাদেরকে খড়কুটোয় আগুন জ্বালাতে হচ্ছে। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষেরই শীত নিবারণে গরম বস্ত্র, অর্থাৎ চাদর কিংবা কম্বল নেই। এগুলো কেনার সামর্থ্যও তাদের নেই। ফলে তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি-বেসরকারি সহায়তার দিকে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত চার দিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন আবহাওয়া ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ধরলা নদীর চর শিবেরকুটির কৃষক নবির হোসেন (৫৬) জানান, নেহাত প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। জীবিকার প্রয়োজনে খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষ চাদর মুড়ি দিয়ে কাজের সন্ধানে গেলেও অনেকেই বাড়িতে ফিরে আসছেন খালি হাতে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের চর যাত্রাপুরের দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম (৪৮) জানান, ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে তারা জবুথবু হয়ে পড়েছেন। ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্যও নেই তাদের। মিলছে না সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা।

কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হায়দার আলী সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সরকারি কিছু শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শীতার্ত দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সহায়তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব শীতবস্ত্র শীতার্ত দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago