নানা অভিযোগে শেষ হলো পাবনার ২ উপজেলা নির্বাচন
নানা অনিয়মের অভিযোগে পাবনার বেড়া ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অংশ নিলেও ভোটের মাঠে মূলত আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দেখা গেছে।
বেড়া উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী রইজ উদ্দিন আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রশাসন আর ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ভোটের পরিবেশ নষ্ট করেছে। তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের বের করে দেওয়াসহ তার কর্মীদের ওপর হামলারও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ও বহিরাগতরা সুজানগর ও পাবনা শহর থেকে এসে ভোট কারচুপি করেছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভোটাররাও কেন্দ্রে যাননি।’
তবে, পাবনা জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’
কিন্তু, কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জানাতে পারেননি রিটার্নিং অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান।
ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলে টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত। উত্তাপহীন এই উপনির্বাচনে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সরব প্রচারণা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী। মাঠে ছিল না বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
গত ১০ সেপ্টেম্বর বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তার পদটি শুন্য হয়।
পাবনা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট ভোটার আছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৮ জন এবং মোট ভোট কেন্দ্র ৮৪টি। বেড়া উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ২ জন এবং ভোটকেন্দ্র ৬৮টি।
Comments