১০৪ বছর বয়সে বয়স্ক ভাতা পেলেন চমর অধিকারী
অবশেষে ১০৪ বছর বয়সে বয়স্ক ভাতা পেলেন যশোরের বাঘারপাড়ার বহরামপুর ইউনিয়নের বাসুয়াড়ী গ্রামের চমর অধিকারী।
তিনি একই গ্রামের হরিবর অধিকারীর স্ত্রী। চমর অধিকারী ১৯১৭ সালে তৎকালীন যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীসহ আট ছেলে-মেয়ের সংসার ছিলো তার। দীর্ঘদিনের সংসার জীবনে স্বামী হরিবর অধিকারী বার্ধক্যজনিত কারণে ৩২ বছর আগে মারা যান।
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সন্তান ও নাতি-নাতনীর সঙ্গে তার বসবাস। ইতোমধ্যে চমর অধিকারীর দুই ছেলে ও এক মেয়েও মারা গেছেন। তার সব মেয়ের জামাইরাও মারা গেছেন। আর ভাগ্য তাকে নিয়ে গেছে নাতির সংসারে।
বর্তমানে চমর অধিকারীর শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো যাচ্ছে না। তবে, লাঠিতে ভর দিয়ে এখনো পায়ে হেঁটে কোনোমতে চলাচল করতে পারেন।
তবে, বার্ধক্যে পৌঁছে কোনো জনপ্রতিনিধির নজরে পড়েননি চমর অধিকারী। ফলে, সরকারের দেওয়া নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন এতদিন।
কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ১০৪ বছর বয়সে এসে বহরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদারের সহায়তায় চলতি বছরে প্রথমবারের মতো বয়স্কভাতা পেলেন তিনি।
সরকারের দেওয়া বয়স্ক ভাতা পেয়ে খুব খুশি চমর অধিকারী। তবে, আর কতদিন বাঁচবেন সেটা নিয়েও চিন্তিত তিনি। স্বামী-সন্তান হারানোর বেদনা প্রায়ই তাকে যন্ত্রণা দেয়। তাই, বেশিদিন বাঁচার ইচ্ছা নেই তার। প্রিয়জনদের হারিয়ে সারারাত জেগে কাটাতে হয় তাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বহরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘বিষয়টি এতদিন কেউ আমাকে জানাইনি। পরে ইউপি সদস্য বোরহানউদ্দীন আমাকে জানালে আমি বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করি।’
Comments