পদ্মা ছাড়ল ৪১ স্প্যান বসানো ক্রেন ‘তিয়ান-ই’
পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কনসট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে চীনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এটি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে গন্তব্যে ফিরবে। চীনে পৌঁছাতে এটির সময় লাগতে পারে দেড় মাস।
আজ রোববার পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কোনো আয়োজন ছাড়াই চীনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনটি। ক্রেনটির সামনের অংশে চীনের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করে যাত্রা করেছে। যাওয়ার আগে ক্রেনের সাদা ক্যাবলগুলো খুলে ফেলা হয়।
তিনি আরও জানান, সেতু নির্মাণে সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ ছিল পিলারের ওপর স্প্যান স্থাপন করা। তবে, ভাসমান ক্রেনটি কারণে স্প্যানগুলো বসাতে বড় ধরণের কোনো অসুবিধা দেখা দেয়নি। একটি স্প্যান বসাতেও ছোটবড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি। জাজিরা প্রান্তে অবস্থিত পিলারগুলোতে স্প্যান বসানোর জন্য মাওয়া থেকে একদিন আগে স্প্যান নিয়ে যেতো। এরপর পরদিন পিলারের ওপর বসানো হতো। আর মাওয়া প্রান্তে বেশিরভাগ পিলারে একদিনের মধ্যে বসানো হয়।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুতে বসানো একেকটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার ও ওজন ৩২০০ টন। আর এসব স্প্যান পিলারের ওপর স্থাপন করেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। ক্রেনটি চার হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এ ভাসমান ক্রেনটি মাওয়া কনসট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান বহন করে পদ্মা নদীতে অবস্থিত পিলারগুলোতে স্থাপন করেছে। পৃথিবীতে এত বড় ভাসমান ক্রেন আর দ্বিতীয়টি নেই। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে এ ভাসমান ক্রেনটি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছিল। পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজে চার বছর ২ মাস একদিন অবস্থান করেছিল। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুতে প্রথম স্প্যান বসিয়ে কাজ শুরু করে ক্রেনটি।
Comments