চট্টগ্রামে ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামে ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গতকাল রাতে নগরীর ওয়াসা মোড় এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার কোতয়ালী থানার এস আই মোমিনুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এস আই মোমিনুল বলেন, ‘টহল ডিউটির সময় আসামিদের অন্ধাকারাচ্ছন্ন জায়গায় সিএনজিসহ অবস্থান করার কারণ জানতে চাই। এ সময় তারা একেক জন একেক রকম উত্তর দেয়। পরে পুলিশ তল্লাশি করে সজীবের কোমর থেকে গোজা অবস্থায় বন্দুক উদ্ধার করে।
‘তারা সেখানে ওত পেতে ছিল ছিনতাইয়ের জন্য, কিন্তু পুলিশ হটাৎ সেখানে উপস্থিত হলে তারা ধরা পড়ে যায়,’ বলেন এস আই মোমিনুল।
গ্রেপ্তার চার জন হলেন- নুরুল হক সজীব (২৯), মো. শহীদ চৌধুরী (২৭), আব্দুল খালেক (৪০) ও মো. ইব্রাহিম (৪২)। এসময় সজীবের কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের সবার বিরুদ্ধে থানায় চারের অধিক মামলা আছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৭ নভেম্বর নগরীর লালখান বাজার মোড়ে ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলা অনুসন্ধান করতে গিয়েই এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১০ই ডিসেম্বর একই গ্রুপের আরও দুই সদস্য দলনেতা মোস্তাকিন হোসেন মিঠুকে (৩৫) সিআরবি এলাকা থেকে এবং রোববার সকালে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার বামনডাঙ্গা থেকে মো. হেদায়েত বিশ্বাস সাব্বিরকে (৪৪) গ্রেপ্তার পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, নগরীতে এক দশক আগে নগরী দাপিয়ে বেড়ানো ছিনতাইকারী দল ‘হামকা গ্রপ আবারও ফের সংগঠিত হচ্ছে এবং দলের সদস্যরা জেল থেকে বেরিয়ে আবারো নানা পয়েন্টে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এক দশক আগে বন্দর নগরীতে ছিনতাইকারী চক্র ‘হামকা গ্রপ’ সক্রিয় ছিলো । তারা টার্গেট ব্যক্তিকে করা গলায় গামছা পেঁচিয়ে সব নিয়ে নিত। হামকা গ্রুপের প্রধান নুর আলম ২০১৭ সালে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সাজা পেয়ে বর্তমানে কারাগারে আছে। এরপর থেকে হামকা গ্রুপ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।’
‘তবে এই গ্রুপের দুই সদস্য মিঠু ও সাব্বির পরবর্তীতে আবারও নিজেদের সংগঠিত করে ছিনতাই শুরু করে। সজীবের সঙ্গে মিলে গড়ে তোলে আরেকটি গ্রুপ। সেই নতুন গ্রুপের সদস্যরাই গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে নগরীতে কৌশল পাল্টে বেশকিছু ছিনতাই করেছে,’ বলেন নোবেল চাকমা।
ওসি মহসীন বলেন, ‘মিঠু রিমান্ডে জানিয়েছে, সে আগে একটি গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ কারখানায় চাকরি করত। তবে, ১০-১২ বছর আগে ছিনতাইয়ে জড়িয়ে চাকরি ছেড়ে দেয়। ১২ বছরের অপরাধ জীবনে এখন পর্যন্ত পাঁচবার জেলে গেছে। সর্বশেষ তিনমাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।’
পুলিশ জানিয়েছে, গত তিনমাসে শুধু কোতোয়ালী এলাকায় মিঠুর নেতৃত্বে তিনটি ছিনতাই হয়েছে।
Comments