পরিবারের সদস্যদের বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চর আলগি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চর আলগি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় তিন জনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা করেছেন।

রামগতি থানা ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ লিখিত অভিযোগটি নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

মামলার বাদীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

ভুক্তভোগীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সাদমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ও শরীরের আঘাত নিয়ে এক গৃহবধূ হাসপাতালে আছেন। তাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় গুরুতর জখম আছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, রোববার রাতে খাবার শেষে পরিবারের সদস্য ও ওই গৃহবধূ ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে অভিযুক্ত যুবকের নেতৃত্বে একদল অজ্ঞাত লোক দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ঘরে ঢুকে তারা পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে একটি কক্ষে আটকে রাখে। অপরে কক্ষে অভিযুক্ত চার জন ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এসময় ভুক্তভোগীর মাথায় আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে তারা। যাওয়ার সময় তারা টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এসে গৃহবধূসহ পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago