বাগেরহাটে মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

রেগে গিয়ে বাবুর্চিই হত্যা করেছিল হাসিবুলকে

গভীর রাতে বাথরুমের দরজা খোলায় রেগে গিয়ে মাদ্রাসাছাত্র হাসিবুল ইসলামকে হত্যা করেছেন আলহাজ্ব রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সদন মাদ্রাসার বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার। তিনি বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমির মল্লিকের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এ তথ্য জানান।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গভীর রাতে বাথরুমের দরজা খোলায় রেগে গিয়ে মাদ্রাসাছাত্র হাসিবুল ইসলামকে হত্যা করেছেন আলহাজ্ব রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সদন মাদ্রাসার বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার। তিনি বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমির মল্লিকের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘হাসিবুল সবার সঙ্গে গত ৫ ডিসেম্বর রাতে ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু, গভীর রাতে সে জেগে ওঠে এবং বাথরুমের দরজা খুলে। এতে বাবুর্চির রাগ হয়। বাবুর্চি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে প্রতিবাদ করে। এতে এক পর্যায়ে বাবুর্চি তাকে দুই গালে চড় মারে। এক পর্যায়ে হাসিবুল ইটের ওপর পড়ে যায় এবং মারা যায়। মৃত্যুর পর তার মরদেহ গামছা দিয়ে বেঁধে মাদ্রাসার পাশের পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে আসে বাবুর্চি।’

পুলিশ এ ঘটনার আরও তদন্ত ও বিশ্লেষণ করে খুব দ্রুতই প্রতিবেদন দেবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আলহাজ্ব রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সদন মাদ্রাসার পাশের পরিত্যক্ত জায়গা থেকে হাসিবুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে নিহত শিশু হাসিবুলের মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ০৭ ডিসেম্বর দুপুরে শিক্ষক হাফিজুর রহমান ফারুক ও বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে পরদিন দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Comments