পাবিপ্রবিতে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষকদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি
বিজয় দিবসে শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়া নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের মারামারিতে ফুলের তোড়া ছিঁড়ে বিজয় দিবসে শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা চত্বরে সকালে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ফুল নিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের শিক্ষকরা বাধা দেন।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে শিক্ষক সমিতির ফুলের তোড়াটি নষ্ট হয়ে যায়। তবে এই ঘটনার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়য় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা এগিয়ে গেলে কতিপয় শিক্ষক তাতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক চড়াও হন। তারা ফুলের তোড়া ছিঁড়ে ফেলেন। শিক্ষক সমিতির বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শিক্ষক সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের নতুন তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে ফলে শিক্ষক সমিতির কমিটি এখন কার্যকর নয়। এজন্য আমরা সব শিক্ষক একসঙ্গে ফুল দিতে চেয়েছিলাম। তারা দুজন অযৌক্তিকভাবে ফুল দেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে সাধারণ শিক্ষকরা আপত্তি জানায়। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
‘সাধারণ শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে তারা এগুতে না পেরে নিজেরাই ফুল ছিঁড়ে আমাদের ওপর দোষারোপ করছে,’ দাবি করেন কামাল।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের একজন ড. আব্দুল আলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষকদের হাতাহাতি ন্যক্কারজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সাজা হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে উপাচার্য ড. এম রোসতম আলি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাটি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং উপস্থিত
অন্যদের সাক্ষ্য নিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments