ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাস্তুহারা ইউপি সদস্য সনজু মিয়া

তিন মাস আগেও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চর মনতলায় ছিল তার বসতভিটা, ১০ বিঘা আবাদি জমি ও একটি ফলের বাগান। ব্রহ্মপুত্র নদের আগ্রাসী ভাঙনে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সনজু মিয়া (৪৪)। অন্যের আশ্রয়ে তাদের দিন কাটছে। স্ত্রী আসমা বেগম ও দুই সন্তান নিয়ে সনজু চর বিসারপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
Kurigram_Sanju_Mia_17Dec20.jpg
ব্রহ্মপুত্র নদের আগ্রাসী ভাঙনে বাড়ি-ঘর হারিয়েছেন চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সনজু মিয়া। ছবি: স্টার

তিন মাস আগেও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চর মনতলায় ছিল তার বসতভিটা, ১০ বিঘা আবাদি জমি ও একটি ফলের বাগান। ব্রহ্মপুত্র নদের আগ্রাসী ভাঙনে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সনজু মিয়া (৪৪)। অন্যের আশ্রয়ে তাদের দিন কাটছে। স্ত্রী আসমা বেগম ও দুই সন্তান নিয়ে সনজু চর বিসারপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

সনজু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চোখের সামনে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেল বসতভিটা, আবাদি জমি। ঘর দুটি কোনো রকমে রক্ষা করে পাশের চর বিসারপাড়ায় নিয়ে এসেছি। এখনো ভাঙা ঘর ঠিক করে উঠতে পারিনি। অন্যের আশ্রয়ে আছি। এক শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার সামর্থ্য আমার নেই। চর মনতলার ১২৮টি পরিবার এখন বাস্তুহারা।’

সনজু মিয়ার স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক বাস্তুহারা পরিবারকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ আমরাই বাস্তুহারা। অন্যের আশ্রয়ে ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা হচ্ছে না। রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না।’

চর বিসারপাড়ার বাসিন্দারা জানান, এই পরিস্থিতিতেও সনজু মিয়া গ্রামবাসীর খোঁজ রাখছেন। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ছুল আলম মন্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটা কষ্টের ও দুঃখের যে একজন ইউপি সদস্যকে বাস্তুহারা জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো তহবিল না থাকায় তাকে এই মুহূর্তে সহায়তা করা যাচ্ছে না। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে তার জন্য কিছু একটা করার।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago