আর কাউকে কোচ হতে বলবেন না সালাউদ্দিন

এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রধান কোচ হিসেবে আছেন সালাউদ্দিন
mohammad salahuddin
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কোচদের মূল্যায়ন নেই, সম্মানীর পরিমাণ দৃষ্টিকটু। এমন অবস্থায় চরম হতাশা জানালেন দেশের প্রথম সারির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আর কাউকে কোচ হতে অনুপ্রাণিত করবেন না বলেও জানালেন তিনি।

এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রধান কোচ হিসেবে আছেন সালাউদ্দিন। দলকে ফাইনালে তোলা এই কোচ গাজী গ্রুপের স্থায়ী চাকরি হিসেবে টুর্নামেন্টের জন্য আলাদা কোন পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না।

কিন্তু টুর্নামেন্টে কাজ করা অন্যান্য কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে সরাসরি অসন্তোষ জানালেন তিনি। টুর্নামেন্টে চার ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা করে। সর্বনিম্ন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে পান ৪ লাখ টাকা। অথচ দলগুলো প্রধান কোচদের পারিশ্রমিক ‘ডি’ ক্যাটাগরিরি প্রায় অর্ধেক। এছাড়া সহকারী কোচরা পাচ্ছেন কেবল লাখ-দেড় লাখ টাকা করে। ট্রেনারদের সম্মানীর হার আরও কম। 

শুক্রবার জেমকন খুলনা-গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দলের টুর্নামেন্ট। তার আগের দিন অনুশীলন সেরে কোচদের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন জানালেন চরম হতাশার কথা,  ‘আমি এখানে কোন পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। গাজী গ্রুপে আমি চাকরি করি। কোচের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি খুব লজ্জিত। আমি সারাজীবনই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচেরা আসে, আরও প্লেয়ার আসুক যারা কোচিং করতে আসে। তারা যেন একটা ভালো স্ট্যাটাস নিয়ে বাঁচতে পারে। আমার কাছে মনে হয় এ ধরণের পারিশ্রমিকে কখনই কোন ছেলেকে বলবো না তোমরা কোচিংয়ে আসো।’

‘এদেশে কোন মূল্যায়ন হয় কীনা ,আমি জানিনা। আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ। ‘ডি’ গ্রেডের একটা খেলোয়াড় যা পাচ্ছে, তা কিন্তু একটা কোচও পাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি আরেকটা কোচকে বলবো তুমি এই পেশায় আসো। আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচরা হয়তো ‘এফ’ গ্রেডের মানুষ। ট্রেইনার ‘জি’, ‘এইচ’ অথবা এমন হবে আরকি।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল কোচদের একজন সালাউদ্দিন মনে করেন কোচদের প্রতি এই দৃষ্টিভঙ্গির মানে তাদের কোন প্রভাব নেই,  ‘কোচদের মূল্যায়ন না করা মানে হচ্ছে দলের প্রতি আমাদের কোন প্রভাব নাই। যদি আপনি বলেন যে কোচদের অনেক প্রভাব থাকে খেলোয়াড়দের উপর। আমরা আসলে আছি শুধু একটা ম্যাচ চালিয়ে দিবো, একটা টুর্নামেন্ট চালিয়ে দিবো। এর বাইরে আমাদের আর কিছু করার নাই।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

9h ago