ভারতে করোনার মধ্যেই নতুন আতঙ্ক মিউকরমাইকোসিস, ৯ জনের মৃত্যু

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার পাশাপাশি শরীরে মিউকরমাইকোসিস নামের বিরল ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
India Mucormycosis
ছবি: রয়টার্স

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার পাশাপাশি শরীরে মিউকরমাইকোসিস নামের বিরল ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতের আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে নয় জনের মৃত্যুসহ অন্তত ৪৪ জনের হাসপাতালে ভর্তির সংবাদ পাওয়া গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আহমেদাবাদ ছাড়াও দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ১২ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। মুম্বাইয়েও মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যাদের দেহে মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই ডায়াবেটিস, কিডনি কিংবা হার্টের অসুখ অথবা ক্যান্সারের রোগী। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর তারা ওই জটিলতায় ভুগছেন।

প্রাথমিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলেই মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ইএনটি সার্জন ডা. দেবাং গুপ্ত গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিস ইনফেকশনে ২০ শতাংশ মৃত্যুর (৪৬ জনের মধ্যে নয় জনের) রেকর্ড করেছি। তবে সময়মতো চিকিৎসা করা হলে এ সংক্রান্ত জটিলতা কমে যাবে।’

সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. জে পি মোদি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গত ১৮ বছরে আমি এ ধরনের প্রায় ২০টি সংক্রমণের ঘটনা দেখেছি। কিন্তু, গত নয় মাসে আমরা এই জাতীয় রোগী পেয়েছি ৪৬ জন। এসব রোগীদের অধিকাংশেরই কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পরে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।’

মিউকরমাইকোসিসের চিকিত্সায় প্রায় তিন লাখ থেকে চার লাখ রুপি প্রয়োজন হলেও ভারতে বর্তমানে বিনামূল্যে এর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, এ পর্যন্ত মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হওয়া সব রোগীর বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং তারা ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগে ভুগছেন। দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে মিউকরমাইকোসিসে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago