রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান ছিলেন না, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২
জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রসিং অরক্ষিত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ক্রসিংয়ে স্থায়ী গেটকিপার ছিলেন না। অস্থায়ীভিত্তিতে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তিনি গতকাল অনুপস্থিত ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল পৌনে ৭টার দিকে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।’
জয়পুরহাট ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউস ইনস্পেকটর সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বাঁধন পরিবহনের একটি বাস জয়পুরহাট থেকে পাঁচবিবি যাচ্ছিল। পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহীতে যাচ্ছিল। বাসটি পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে উঠলে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন। দুর্ঘটনায় বাসটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো বাসটি রেললাইনের ওপরে আছে। বাসটি সরিয়ে নিতে ক্রেন দরকার। পাবনা ও দিনাজপুর থেকে দুটি ক্রেন ঘটনাস্থলে আনা হচ্ছে। ক্রেন দুটি পৌঁছাতে আরও দেড় ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। দুর্ঘটনার পর থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে। অরক্ষিত রেলক্রসিং, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা এবং কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।’
এ ঘটনায় পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল ও বিভাগীর পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহীদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কমিটিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে যেন রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা যায়, সে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস, নিহত ১০
Comments