‘বাংলাদেশকে বুঝতে হলে আবেদকে বুঝতে হবে’

আজ স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী । বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মারা যান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্যার ফজলে হাসান আবেদ এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আজ স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী । বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মারা যান।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে তার স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় ‘সেলিব্রেটিং দ্য লাইফ অ্যান্ড লিগ্যাসি অব স্যার ফজলে হাসান আবেদ’। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের সমাজ কর্মী, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, এনজিও কর্মী, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

আগামীকাল পড়ুন: ফজলে হাসান আবেদকে নিয়ে গোলাম মোর্তোজার লেখা ‘একজন কিংবদন্তির সান্নিধ্যে’

এ আয়োজনে অনেকের মধ্যে বন্ধু, প্রিয়জন ও শ্রদ্ধাভাজন হিসেবে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে স্মরণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘আজকে আবার আমরা একত্রিত হলাম আবেদের স্মৃতিচারণের জন্য। প্রথমবার তার ইন্তেকালের খবর শুনে যে আঘাতটা পেয়েছিলাম, সে আঘাত সামলে আবার সবাই স্বাভাবিক জীবনে চলে এসেছিলাম। এবার সময় ফিরে এসেছে, সব কথা শুনে বিস্তারিতভাবে তার সম্পর্কে আলাপের। এরপরে আরও আনুষ্ঠানিক সুযোগ হয়তো হবে, তারপর হয়তো এটা বাৎসরিক স্মৃতিচারণে আসবে। আমার যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেটা হচ্ছে, আমাদের কাছে আবেদ ছিল প্রতিদিনের মানুষ। তাকে যেন আমরা প্রতিদিন মনের মধ্যে রাখতে পারি। তাকে যেন বাৎসরিক বা আনুষ্ঠানিকতায় হারিয়ে না ফেলি। সেই ভয়টাই আমার বেশি মনে হচ্ছে। কারণ, আবেদের যে ভূমিকা ছিল বাংলাদেশে, সে ভূমিকাটা ভুলে গেলে আমরা আমাদের জীবনকে ভুলে যাওয়ার মতো হবে। বাংলাদেশকে বুঝতে হলে আবেদকে বুঝতে হবে। আবেদকে না বুঝলে বাংলাদেশকে ঠিক বোঝা হবে না। আবেদ যে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে, তার মধ্যে প্রতিটি জায়গায় যে তার ছাপ সে দিয়ে গেছে, এটা শুধু স্মৃতি কথা দিয়ে আমরা সম্পূর্ণ করতে পারবো না। তার গভীরতা, তার ব্যাপকতা, তার সুদৃঢ় পথে  এগুলো কোনটা কীভাবে এসেছিল তার স্মৃতি থাকা দরকার। কিন্তু, তার চেয়ে বেশি দরকার এই স্মৃতিকথাগুলো একত্র করে এটা একটা সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে নিয়ে, তাকে ক্রমাগত জানার চেষ্টা করা। তাকে জানতে গেলেই আমরা বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, তার পরিবর্তন বুঝতে পারবো। আমি বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বলছি, যেহেতু তার ক্ষেত্রটা ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু যত কিছুই আবেদ করেছে সারা পৃথিবীর মানুষের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। যেখানে অবহেলিত মানুষের বিষয়টি আছে। যে ব্যাপকতা সে নিয়ে এসেছে প্রতিটি পদক্ষেপে, এনজিওর পরিচিতিটাই সে পাল্টে দিয়েছে সারা দুনিয়ার কাছে। এনজিও বলতে আগে যা বোঝা যেত, আবেদ তা একদম বদলে নতুন কনসেপ্ট সৃষ্টি করেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা দুনিয়ার জন্যই এটা সত্য কথা। এই যে পরিবর্তনটা এনেছে, আমরা কিন্তু প্রতিনিয়ত এই জিনিসটাকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারছি না। কন্টিনিউইটিটা থাকলে এটাকে বোঝা যাবে এবং তার সারমর্মটা আমরা পরিষ্কার করে বুঝতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্র্যাক শুরু হয়েছিল কীভাবে তার কিছু কথা আমরা শুনলাম। একটা কথা আজ শুনিনি, সেটা আমার বলার ইচ্ছে হচ্ছে। ব্র্যাক নিজে একটি এনজিও, ক্রমাগতভাবে নিজেকে আবিষ্কার করে গেছে এবং এই ব্র্যাক জন্ম থেকেই অনেক এনজিওর সৃষ্টি করেছে, সরাসরি ব্র্যাক থেকে। তার অনুকরণে অনেক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে। ব্র্যাকের নিজের থেকে ছুটে গিয়ে আরেকটা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এ রকম একটার পর একটা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এবং সেগুলো জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান না। এটাও ব্র্যাকের মর্মের মধ্যে বুঝতে হবে। যাদের নিয়ে কাজ করেছেলেন তিনি, তার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, তারা নিজেরাও অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বহু প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন। ক্রমে একটার পর একটা কীভাবে এসেছে, কীভাবে সেগুলোকে তিনি পরিচালনা করেছেন এই দিকটা যেন আমরা ভুলে না যাই। আমার বিশেষ অনুরোধ হবে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আছে বা ব্র্যাকের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, আবেদকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিষ্ঠান করার। যার বড় কাজ হবে তাকে বোঝার চেষ্টা করা, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা। যাতে বাংলাদেশের তরুণ সম্প্রদায় তার প্রতিটি দিক বুঝতে পারে। বড় হওয়ার সময় তাকে যেটা হতে হবে, তার সামনে দেখতে পাবে একটা মানুষ, যার একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের সঙ্গে সে সম্পৃক্ত হয়েছে। এটা কম কথা না। বাংলাদেশ একটি বিশাল দেশ। আবেদ একটি মানুষ, যার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের একটি সংযোগ সে স্থাপন করে গেছে। এমন কোনো মানুষ নেই যার সঙ্গে আবেদের সংযোগ স্থাপন হয়নি। এই দিকগুলো হারিয়ে যাবে, আমার খালি ভয় হয় এই দিকগুলো হারিয়ে যাবে। আমরা কথার মধ্যে থেকে যাব, বাণী দিয়ে যাব। কিন্তু, মূল মানুষটাকে বোঝার এবং চেনার, তাকে প্রতিদিনের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার, বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তরুণ সম্পদায় যেন বোঝে, সে এমন একজন মানুষ হতে পারে যে প্রতিটি মানুষের জীবনকে স্পর্শ করতে পারে। তার মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। কারণ সেই ক্ষমতা এখানে দেখানো গেছে, নজির আছে। সেটা কীভাবে হয়েছে? তাকে একটা বইয়ে লিখে শেষ করা যাবে না। আবেদ এমন একজন মানুষ, যাকে নিয়ে একটা-দুটো বই লিখে দিলো আর হয়ে গেল, আমার মনে হয় না সেটা করার কোনো সুযোগ আছে। কাজেই এটা যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আবেদের নামে একটা স্টাডি, ইনস্টিটিউট, সেন্টার বা যেকোনো কিছু করা দরকার, যেটা আবেদ কেন্দ্রিক। সেখানে ক্রমাগতভাবে যেন আবেদকে আবিষ্কার করে, ক্রমাগতভাবে তাকে যেন তুলে  ধরে।  তার সেই  জিনিসটা আমরা কতটুকু রপ্ত করতে পারবো, কতটুকু আমাদের মধ্যে নিয়ে আসতে পারবো, এ জিনিসটা যেন হারিয়ে না যায়। সেটাই আজকের দিনে আমার অনুরোধ থাকবে। এটা হবে আবেদের প্রতি স্মৃতিচর্চার একটা বড় অবদান। যদি আমরা করতে পারি, আবেদকে চিরদিনের জন্য আমাদের সঙ্গী করে রাখতে পারবো। সে আমাদের চির দিনের সাথী এবং এক জেনারেশনের সাথী না, জেনারেশনের পর জেনারেশনের সাথী। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর যেখানেই একই পরিস্থিতি আছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে অন্য দেশের পরিস্থিতির যেখানেই সামঞ্জস্য আছে, সেখানেই একেবারে সঠিকভাবে প্রযোজ্য হবে। কাজেই সেই কাজটা যেন আমরা করতে পারি। সেই সিদ্ধান্তগুলো যেন আমরা তাড়াতাড়ি নিয়ে নিতে পারি।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আবেদ ভাই আমার বড় ভাই এবং বন্ধু। আবেদ ভাই অংকের জগতের মানুষ। আমি এমন একটি পেশার মানুষ, আমাকে জর্জ বার্নাড শ বলেছেন, কশাই বা বুচার। ডাক্তারকে তিনি বুচার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি (ফজলে হাসান আবেদ) খুব সুন্দরভাবে হাসতে পারেন। অতি ভদ্রলোক। আমার স্ত্রী শিরিন বলে, তার ওই সুন্দর হাসিটা তুমি একটু শিখতে পারো না? সব সময় মুখ গোমরা করে থাকো কেন! একটু শেখো আবেদ ভাইয়ের থেকে। আবেদ ভাই খাওয়াতে ভালোবাসতেন, আমি খেতে ভালোবাসি। আমরা এক হিসেবে দুই প্রান্তের মানুষ। কিন্তু একটা সময় মুক্তিযুদ্ধ আমাদের দুজনকে খুব কাছে এনে দিলো। আমরা দুজনই বিলাতে ছিলাম এক সময়। কিন্তু সেখানের চেয়েও বড় পরিচয়টা হলো মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাদের দুজনের সাক্ষাৎ। তিনি মানিকগঞ্জে যাওয়ার পথে গণস্বাস্থ্যে থামতেন। তিনি সিগারেট খেতে ভালোবাসেন, আমি সিগারেটকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি। তার গন্ধ পর্যন্ত সহ্য করতে পারি না। আমি বলতাম, আবেদ ভাই সিগারেট খাওয়া যাবে না। তিনি বলতেন, না, আপনার এখানে আর আসবই না। কিন্তু, আবার আসতেন। ওই সময়টুকুতে সিগারেট খেতেন না।

আবেদ ভাইয়ের এই গুণটা, তিনি সবকিছু খুব বড়ভাবে দেখেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি মাঝে মাঝে ফোন করতেন। বলতেন, জাফরুল্লাহ কী করেন? বলতাম, এই আছি। তিনি বলতেন, চা খেতে আসেন। ওই যে বললাম তিনি খাওয়াতে ভালোবাসেন, গল্প করতে ভালোবাসেন। এক সময় আমি তাকে বলি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে, বাংলাদেশে ডায়ালাইসিস সেন্টারের স্বল্পতার কথা। সব শুনে জানতে চান, কত টাকা লাগবে?

আমি বললাম, ৪০ কোটি টাকা।

জানতে চাইলেন, কত জোগার করেছেন? আমি বললাম, ১০ কোটি।

তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝলেন। এর জন্য ১০ মিনিটও লাগেনি। বললেন, আমি ১০ কোটি দিয়ে দেব। বললেন, বাকি টাকা ড. ইউনুস দেবে। আমি বললাম, ইউনুস ভাই দেবে না। বললেন, দেবে না মানে! চলেন, আমি আপনাকে নিয়ে যাই। ইউনুস ভাইয়ের কাছে তিনি দুবার গিয়েছিলেন এই টাকার জন্য। ইউনুস ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা আদায় করে দিয়েছিলেন। ২০ কোটি আদায় করতে পারেননি। তারপরে অনেক দিন চলে যায়, আবেদ ভাই জিজ্ঞাসা করলেন কী অবস্থা? কত দিনে ব্রেকইভেনে আসবে? তিনি অংকের মানুষ, ব্রেকইভেন বুঝেন। আমি বললাম, স্বাস্থ্যতে ব্রেকইভেন হয় না। এটাতে করা যাবে না। যদি গরিব মানুষের স্বাস্থ্য দেখতে চান, তাহলে কাউকে না কাউকে এর খরচ বহন করতে হবে। ব্রেকইভেন ওনার মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে, যেহেতু তিনি অংকের মানুষ।

জুলাই মাসে আবার ডাকলেন। এত কাজকর্মের মধ্যে উনার মনে হতো ১০ মিনিট গল্প করি। ওই গল্প করার জন্যই আমাকে ডাকা। গেলাম, উনার সেক্রেটারি ফোন করে বললেন, আবেদ ভাই কথা বলবেন। গেলাম, তিনি বললেন, কী করতে চান? আমি বললাম, একটা বড় করে ক্যানসার হাসপাতাল করতে চাই। বললেন, কত টাকা লাগবে? আমি বললাম, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী করতে যত টাকা দরকার, সেই ৪০০ কোটি টাকা। এটা করতেও সারা বাংলাদেশকে, স্বাস্থ্যটাকে জনগণের কাছে আনার জন্য এটা লাগবে। তিনি বললেন, ওইটা রাখেন, আগে বলেন এইটা কত দূর কী হলো? আমি বললাম একটা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার করতে হবে। তিনি বললেন, সবচেয়ে বড় করে করেন। কত টাকা লাগবে? আমি বললাম ৫০ কোটি। জানতে চাইলেন, কত জোগার করেছেন? বললাম, ২০ কোটি জোগার করেছি। বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে। এটা নিয়েও আলাপ করা যেতে পারে। যা হোক, তারপর তো আবেদ ভাই চলে গেলেন। আপনারা অনেকে অনেক কথা বলেছেন। আবেদ ভাইয়ের সেই হাসি, সেই সুন্দর মানুষটাকে আমি প্রতিদিন দেখতে চাই। আমার হিসেবে তিনি চলে যাননি। উনাকে আমি প্রতিদিন দেখতে চাই। আমাদের লোকজনকে ইন্সপায়ার করতে চাই। সেজন্য আমরা স্থির করেছি, এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার করতে যাচ্ছি আমরা। যেখানে বছরে এক হাজার ট্রান্সপ্লান্ট হবে। সেই সেন্টারের নাম দিতে চাই স্যার ফজলে হাসান আবেদ ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার। যেখানে তার ছবিটা দেখে রোজই তাকে পাব। যেহেতু বলেছি, আমি কসাই মানুষ, অপারেশন থিয়েটারের সামনে দিয়ে আমার আসা-যাওয়া করতে হয়। সামনে তাকে দেখব, তার হাসিটা দেখে ইন্সপায়ার হবো। আমি চাই আপনারাও সবাই সহোযোগিতা করবেন, যাতে আবেদ ভাই সবসময় জীবন্ত থাকেন। আমি মৃত আবেদ ভাইকে চিন্তা করি না, আমি জীবন্ত আবেদ ভাইকে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেষ কথাটা বলি। তিনি মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে গেলাম, তিনি সেই একই রকম উজ্জ্বল। আমাকে বলে দিয়েছে, ১০ মিনিটের বেশি কথা বলেন না। তিনি তখনও বলছেন, জাফরুল্লাহ কেক খেতে ভালোবাসে ওকে দুটি কেক দাও। তারপর বললেন, মনে আছে জাফরুল্লাহ আমাদের বন্ধুর কথা। মারিয়া আক্তারের নামে একটা ওয়ার্ড করবেন। আমি সেই কথাটাও দিয়েছি। দেখা যাক কতটুকু কী করতে পারি। আপনাদের সবার সাহায্য দরকার। আবেদ ভাইকে প্রতিদিন দেখার জন্য, তার হাসিটা উপলব্ধি করার জন্য।’

আরও পড়ুন: চলে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ার কারিগর

তুমি আমাদের চিরসাথী

মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, ব্র্যাক শুরু করার সময় এই ছিলো একমাত্র চিন্তা

বাংলাদেশের সামাজিক জীবনধারায় নারীর অবদান

বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত স্যার ফজলে হাসান আবেদ

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago