জাজিরা প্রান্তে যুক্ত হলো পদ্মাসেতু

Padma Bridge.jpg
এস ৩৫ ও এস ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর সবশেষ টি-গার্ডার, যার আইডি নম্বর এস-৩৬এফ স্থাপন করা হয়েছে। ছবি: স্টার

শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পদ্মাসেতু। গতকাল সোমবার মূল সেতুর পিলারের ওপর সর্বশেষ টি-গার্ডার বসিয়ে জাজিরা প্রান্তের সেতুর গোঁড়া (ভায়াডাক্ট) যুক্ত করা হয়। এখন পায়ে হেটে মূল সেতুতে প্রবেশ করা যাবে।

সেতুতে গাড়ি উঠানামার জন্য টি-গার্ডার বসাতে সময় লেগেছে দেড় বছরের বেশি। এসব গার্ডার জাজিরা ও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রস্তুত করা হয়েছে।

ভায়াডাক্টের এস ৩৫ ও এস ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর সবশেষ টি-গার্ডার, যার আইডি নম্বর এস-৩৬এফ স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এ প্রান্তে টি-গার্ডার বসানো শেষ হলো।

পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন বলেন, ‘গতকাল পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে টি-গার্ডার বসানো শেষ হয়েছে। এতে মূল সেতুর সঙ্গে যুক্ত হলো সেতুর গোঁড়া। জাজিরা প্রান্তে ২৩৪টি গার্ডার বসানো হয়। একেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর এসব বসানো হয়েছে। ৪২টি স্প্যানে ৫-৭টি করে টি-গার্ডার বসেছে। এতে দৃশ্যমান হয়েছে ১৬৭০.০৩ মিটার।’

সেতুর জাজিরা প্রান্তের প্রকৌশলীরা জানান, এসব টি-গার্ডারের ওপর এখন রড বাধাই শেষে ঢালাই হবে, এরপর কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় প্রস্তুতকৃত এসব গার্ডার গ্রেনডি ক্রেনের সহায়তায় পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়ে গেলে পায়ে হেটে মূল সেতুতে উঠানামা করা যাবে। এর আগে, এ প্রান্তে রেলওয়ে গার্ডার স্থাপনের কাজ শেষ হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসাতে হবে। ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহে এক হাজার ৩৩৩টির বেশি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাব বসাতে হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৪২টির বেশি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। চলতি মাসেই পদ্মাসেতুতে সব স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ৬ হাজার ১৫০ মিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান হয়।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago