জামাতার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ হত্যা মামলা করে মেয়ের ‘আত্মহত্যার’ অ্যাফিডেভিট শ্বশুরের

​শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলার আদেশ হাইকোর্টের
supreme-court-1.jpg
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

পটুয়াখালীতে জামাতার বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে মামলা করার পর, মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে- এমন অ্যাফিডেভিট দাখিল করায়, মামলার বাদী জলিল দুয়ারির বিরুদ্ধে থানাকে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামি জামাতা মো. কাওসার গাজীর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার নথিপত্রের বরাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর টাউন বহাল গাছিয়া গ্রামে মো. কাওসার গাজী পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী সাথী আক্তারকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরবর্তীতে তাদের মেয়ে ফারিয়া আফরোজ আদালতে বাবার বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাছাড়া, সাথীর ময়না তদন্ত প্রতিবেদনেও মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় সাথী আক্তারের বাবা জলিল দুয়ারি তার জামাতা মো. কাওসার গাজীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পরবর্তীতে তিনি আদালতে একটি অ্যাফিডেভিট দাখিল করে বলেন, কুচক্রি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি হত্যা মামলা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আজ আসামি কাওসার গাজীর জামিন আবেদনের শুনানিতে মামলার বাদী জলিলের কর্মকাণ্ডে আদালত ক্ষুব্ধ হন। জলিল দুয়ারির ‘মিথ্যা’ তথ্য দিবয়ে হত্যা মামলার দায়ে, তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পটুয়াখালী থানাকে নির্দেশ দেন আদালত।

কাওসার গাজীর আইনজীবী মো. আসাদ মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, জলিল দুয়ারির অ্যাফিডেভিটের বক্তব্যের কারণে আদালত কাওসার গাজীর জামিন মঞ্জুর করেছেন। কাওসার ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ থেকে পটুয়াখালী কারাগারে ছিলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ জানান, মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

39m ago