‘মুশকান জুবেরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি’

বাংলাদেশের লাক্স-তারকা আজমেরী হক বাঁধন ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। এর পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় মুশকান জুবেরী চরিত্রে অভিনয় করছেন বাঁধন।
বাংলাদেশের লেখক নাজিম উদ্দিনের লেখা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন গায়ক-অভিনেতা ও পরিচালক অঞ্জন দত্ত। আরও অভিনয় করছেন রাহুল বোস, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনির্বাণ চক্রবর্তী প্রমুখ।
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর অঞ্চলে এর শুটিং শুরু হয়েছে।
কলকাতার একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ নির্মিত হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কলকাতা থেকে মুঠোফোনে কথা বলেছেন আজমেরী হক বাঁধন।
‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সিরিজ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ওয়েব সিরিজটির শুটিং আমি ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেছি। মুশকান জুবেরীর চরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হচ্ছে করোনা মহামারি শুরুর সময় থেকেই।’
‘সৃজিত মুখার্জি প্রথম থেকেই আমাকে এই চরিত্রের জন্য ভেবে রেখেছিলেন— তিনি তা নিজেই বলেছেন। এই চরিত্রে পাওলি দামের অভিনয় করার কথা ছিল। শিডিউল না মেলায় তা করতে পারেননি।’
‘প্রথমে বাংলাদেশে এসে শুটিং করার কথা ছিল। করোনার কারণে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। আমি ভারতীয় হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে ভিসা দেওয়ার জন্য।’
কলকাতায় কাজের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন?— ‘আমাদের এখানে টেকনিক্যাল সাপোর্ট অনেক কম। আমাদের পরিচালকরাও অনেক মেধাবী কিন্তু টেকনিক্যাল সাপোর্ট আমাদের এখানে অনেক অল্প।’
‘টেকনিক্যাল সাপোর্টের কারণে কলকাতার ওরা অনেক গুছিয়ে কাজ করতে পারেন। তাদের শুটিং আয়োজন বিশাল। ওয়েব সিরিজের জন্য বাজেট সুন্দর। আমি বাংলাদেশের নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের যে কাজটা করেছি সেটাও অনেক দারুণ কাজ ছিল। তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা করছি না। আমার কাছে নির্মাতা, স্ত্রিপ্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে চরিত্রের গুরুত্ব বুঝে কাজ করছি।’
এই ওয়েব সিরিজের ভালো লাগা বিষয়গুলো কী?— ‘আমি মুশকান জুবেরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। এখনো প্রেমেই পড়ে আছি। এই চরিত্রটাকে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছি। যখন প্রথম পড়েছি তখনই মজে গেছিলাম চরিত্রে। খুব সুন্দর একটা চরিত্র।’
‘আর সৃজিত মুখার্জির মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছি। কলকাতার অন্যতম সেরা পরিচালক তিনি। অনেক কিছু শিখছি। অনেক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরবো আশা করছি।’
আপনার সহশিল্পীদের বিষয়ে কিছু বলেন?— ‘গুণী সহশিল্পীদের কাছে অনেককিছু শিখছি। একটা ক্লাইমেক্সের শুটিংয়ে রাহুল বোস আর সৃজিত মুখার্জি আমাকে সাহায্য না করলে এই দৃশ্য করা সম্ভব হতো না। আমরা আট রাত থেকে সারারাত শুটিং করেছি। ভোরের দিকে প্যাকআপ হয়েছে। দুপুরে কলটাইম থাকে আমাদের। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে কাজ চলছে। আমার জন্য একেবারে নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা।’
Comments