অতিমাত্রার শব্দদূষণে অতিষ্ঠ বড়লেখার জনজীবন
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাঁচ-সাতটি মাইক এক সঙ্গে লাইন ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে উচ্চশব্দে। আইন অমান্য করে হাসপাতাল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় উচ্চশব্দে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারকর্মীরা।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণায় শব্দ দূষণ নিয়ে মিফতা আহমেদ নামের এক পথচারী দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন, ‘যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেও প্রচার মাইক থামছে না। অতিমাত্রায় শব্দের কারণে প্রার্থীর নামও ঠিক মতো শোনা যাচ্ছে না।’
উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে বাদাম বিক্রেতা সাদাত হোসেন ডেইলি স্টারকে বললেন, ‘ভাই কানে আঙ্গুল দিয়েও রেহাই পাই না। এতগুলো মাইক দিয়ে এক সঙ্গে কি যে বলছে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
‘মাইকে ঘোষণা দেওয়ারও আইন আছে নাকি?’— প্রশ্ন করে পাখিয়ালা এলাকার এক প্রচারকর্মী সাদেক মিয়া ডেইলি স্টারকে বললেন, ‘এত বছর ধরে মাইকে ঘোষণা দিই কেউ তো অভিযোগ করেননি।’
উচ্চমাত্রার শব্দ দূষণ সম্পর্কে বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘এটি নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ। আচরণ বিধির ২১ অনুচ্ছেদ “মাইক্রোফোন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ” এ বলা হয়েছে, (১) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একটি ইউনিয়নে অথবা পৌরসভায় পথসভা বা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে একের বেশি মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বৃদ্ধিকারী অন্য যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।’
‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে,’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘শব্দ দূষণের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে ১৯৯৭ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে শহরকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দিন ও রাত ভেদে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আইনানুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব জায়গায় মাইকিং করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
Comments