লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি ও একজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে ডাকাতি ও একজনকে হত্যার ঘটনায় ডাকাত দলের চার সদস্যকে লুণ্ঠিত মালামাল এবং অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় লক্ষ্মীপুর জেলা সদরে একটি চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নয় জন ডাকাতের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. মনির হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। ডাকাত দল মই ব্যবহার করে প্রথমে বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে, পরে সিঁড়ির দরজা দিয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। সেসময় সংঘবদ্ধ ডাকাত সদস্যরা মনির হোসেন এবং তার স্ত্রী মিলন বেগমের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মনির হোসেনের মৃত্যু হয়। এসময় ডাকাত দল স্বর্ণালংকার, গচ্ছিত টাকা, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
অপরাধ সংঘটনের পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সনাক্ত করেন। শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের তথ্যাদি যাচাই-বাচাই ও পর্যালোচনার মাধ্যমে এলআইসি, সিআইডি টিম প্রথাগত তদন্ত কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য লক্ষ্মীপুরের মামুনুর রশীদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুর ডাকাতির কথা স্বীকার করেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এলআইসি টিম ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে উক্ত ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অপর ডাকাত আবুল কালাম আজাদ, ফারুক ও আইয়ুবদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালীর একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া আইয়ুবের ঘর থেকে ডাকাতির লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল এবং আসামি আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি মামুনুর রশীদের বাসা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার গত ১৮ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
Comments