শীর্ষ খবর

ধামরাইয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ

ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন সাংবাদিক।
Dhamrai
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন সাংবাদিক।

আজ সোমবার দুপুরে ধামরাইয়ের একটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক অরুপ রয় অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে ধামরাই পৌরসভার কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রের ইভিএম মেশিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। পরে এ বিষয়ে ভোটারদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েক জন সাংবাদকর্মী কেন্দ্রে  প্রবেশ করি। তখন ভোট কেন্দ্রের মূল ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আজিজুল হক। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তিনি প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হানের কাছ থেকে মোবাইলও ছিনিয়ে নেন।’

‘কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হলে তার অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে উল্লেখ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আটকে রাখার হুমকি দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আমরা কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসি,’ যোগ করেন অরুপ রয়

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আজিজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগটি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘গোপন কক্ষের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ সত্যেও তিনি মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলছিলেন। তাকে ছবিগুলো কয়েকবার ডিলিট করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি। ছবিগুলো ডিলিট করতেই তার ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ফোনটির এক পাশের গ্লাস ভাঙা ছিল। ঐ গ্লাসে তার একটি আঙ্গুলে কেটে যায়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের ত্রুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধান হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।’

Comments

The Daily Star  | English
Our rising foreign debt and financial worries

Our rising foreign debt and financial worries

The growth of debt exceeding the growth of GDP is a clear sign of vulnerability, the consequences of which are already present.

12h ago