হত্যা, ডাকাতিসহ ১৫ মামলার আসামি লুৎফর শেখ গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ডে

বগুড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার এবং চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি লুত্ফর শেখ (৪০) ওরফে লুৎফর পাগলাকে গ্রেপ্তারের পর, আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমরান মাহমুদ তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার লুৎফর শেখকে ৭ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার এবং চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি লুত্ফর শেখ (৪০) ওরফে লুৎফর পাগলাকে গ্রেপ্তারের পর, আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমরান মাহমুদ তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল লুৎফরকে গ্রেপ্তারের পর আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে, বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ জানায়, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার লুত্ফর শেখের বিরুদ্ধে রংপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, জামালপুর ও বগুড়ার বিভিন্ন থানায় চারটি হত্যা এবং ডাকাতিসহ মোট ১৫টি মামলা আছে।

পুলিশ জানায়, এক মাস ধরে চেষ্টার পর গতকাল দুপুরে এক অভিযানে যমুনার দুর্গম চর এলাকা চালুয়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী জানান, বগুড়ায় ১১টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল তার বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, 'নৌকায় করে বগুড়া, জামালপুর ও গাইবান্ধার দুর্গম চর এলাকায় ডাকাতি করত লুৎফর। তাকে অনেকদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু, ভৌগলিক সুবিধা নিয়ে সে পালিয়ে থাকতো।'

গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান এবং দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার জানান, লুৎফর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

লুৎফরের দাবি, 'আমার বাপ-দাদারা অনেক আগে থেকে আওয়ামী লীগ করত। সে হিসেবে আমিও আওয়ামী লীগ করি। চালুয়াবারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিও ছিলাম আমি। সম্প্রতি বিভিন্ন থানায় মামলা হওয়ার পরে, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।'

'আমি কখনও কারো গালে একটি চড়ও মারিনি। আমার বিরুদ্ধে ডাকাতির সব মামলা মিথ্যা। চরে আমার গরু-মহিষের খামার আছে। আমি আমার ভাইসহ পরিবারের ২০ জন সদস্য এই খামারের দেখাশোনা করি,' বলেন তিনি।

মানুষ শত্রুতা করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা দিয়েছে বলেও দাবি লুৎফরের। তবে, কারা তার শত্রু তা বলতে পারেননি।

ডাকাতি ও হত্যা মামলার জন্য বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

সারিয়াকান্দি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব তরফদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, লুৎফরকে এক বছর আগে চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ নানা অভিযোগ আসায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। লুৎফর শেখ তার আগে আড়াই বছর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Tofazzal beaten to death at DU

Man beaten to death in DU hall

He was suspected to have stolen students' mobile phones

1h ago