পঞ্চগড়ের প্রথম নারী মেয়র হচ্ছেন জাকিয়া খাতুন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন পঞ্চগড় পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
তার এই জয়ের ফলে ১৯৮৫ সালে পঞ্চগড় পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কোনো প্রার্থী মেয়র পদে প্রথমবারের মতো জয় পেয়ে শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
গত ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জাকিয়া খাতুন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ৫৬ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পাঁচবারের নির্বাচিত মেয়র তৌহিদুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পান নয় হাজার ৪৭৫ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. আলমগীর দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ১৫টি পোলিং সেন্টারে মোট ৩৫ হাজার ১১ জন ভোটারের মধ্যে ২১ হাজার ১৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করেন। যা মোট ভোটের ৬৩.০২ শতাংশ। এর মধ্যে ৮৮টি ভোট বাতিল হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা।
নির্বাচনে তিন মেয়র প্রার্থী, ৩৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ১৬ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে জাকিয়া খাতুন জানান, দিনাজপুরে পৈর্তৃক বাড়িতে থাকাকালীন তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বিয়ের পর তিনি তার স্বামীর কর্মস্থল পঞ্চগড়ে আসেন। তারপরে পঞ্চগড়ের ড. আবেদা হাফিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন এবং ২০০১ সালে পঞ্চগড় পৌরসভা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হন। জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।
জাকিয়া খাতুন ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্টসহ পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নাগরিক পরিসেবা উন্নত করতে কাজ করব। পাশাপাশি যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে তাদের কর্মসংস্থানে সরকারের সহযোগিতায় উদ্যোগ নেব।’
Comments