গোল খেয়েও ‘গর্বিত’ এ গোলরক্ষক

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কে? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক বিতর্ক থাকলেও ইতিহাসের সেরা গোল নিয়ে একমত প্রায় সব ফুটবল বোদ্ধারাই। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দিয়েগো ম্যারাডোনার সেই গোলটিকেই সেরা মানেন সবাই। প্রায় ঠিক একই রকম একটি গোল দিয়েছেন তার উত্তরসূরি লিওনেল মেসিও। আর সেই ম্যাচে গোলরক্ষক হিসেবে থাকতে পেরে গর্বিত অনুভব করছেন গেতাফের সাবেক গোলরক্ষক লুইস গার্সিয়া।

একজন গোলরক্ষকের কাজই হচ্ছে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের শট ঠেকিয়ে দেওয়া। ক্লিন শিট রাখা। কিন্তু সেখানে যদি কোনো গোলরক্ষক গোল হজমের পর বলেন, গোল আমি খেয়ে আমি গর্বিত। তাহলে বিস্মিত হবেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দায়। আর বিস্ময়কর সে কথাই বলেছেন গার্সিয়া।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের অর্ধ থেকে কাটিয়ে একক দক্ষতায় ইতিহাসের সেরা গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা। প্রায় সেই গোলের অনুরূপে ২০০৭ সালে নিজেদের অর্ধ থেকে কাটিয়ে একক দক্ষতায় ম্যারাডোনার সেই গোলের মতো গোল করেন মেসিও। দুটি গোলে পার্থক্য, ম্যারাডোনা শেষ মুহূর্তে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন, আর মেসি ডান পায়ে। 

সম্প্রতি এক ক্লাবে পেলের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন মেসি। এরপর মেসির অন্যতম স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত বিয়ার প্রস্ততকারক  বাডওয়াইজারের পক্ষ থেকে বড়দিনের স্মারক উপহার হিসেবে ‘মেসি ৬৪৪’ নামে বিয়ারের বিশেষ বোতল তৈরি করে উপহার দেওয়া হয় সে গোলরক্ষকদের, যারা মেসির গোলের সময় গোলপোস্টে ছিলেন।

স্বাভাবিকভাবে গার্সিয়াও পেয়েছেন সে উপহার। আর উপহার পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে গার্সিয়া বলেন, ‘আপনি যখন কোনও গোল হজম করেন তখন খুশি হওয়া অসম্ভব তবে এটি ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। সময় চলে যায় এবং আমি তার বিপক্ষে খেলতে পেরে গর্বিত।’  

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

3h ago