টোকিওতে একদিনে রেকর্ড করোনা শনাক্ত
২০২০ সালের শেষ দিনে জাপানের রাজধানী টোকিওতে রেকর্ড সংখ্যক করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ টোকিওতে এক হাজার ৩০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ৯৪৯ জন।
আজ জাপানজুড়ে চার হাজার ৫১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল টোকিওতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯৪৪ জন এবং জাপানজুড়ে এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৮৫২ জন।
দেশটিতে শনাক্তের সঙ্গে আনুপাতিক হারে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। গতকাল বুধবার জাপানে করোনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। যা ছিল একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।
সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলোর অন্যতম ২৮ ডিসেম্বর থেকে জাপানের বাসিন্দা নন এমন বিদেশিদের আগমন স্থগিত করা হয়েছে। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। যুক্তরাজ্যে উদ্ভূত নতুন প্রজাতির বিস্তার রোধে জাপান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে জাপানে বছর শেষের ছুটি চলছে। এই ছুটি চলবে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। যদিও সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে নববর্ষের ছুটি দীর্ঘায়িত করার অনুরোধ জানান। সাধারণত এ ছুটি ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু, এ বছর তা দীর্ঘায়িত করে প্রাপ্তবয়স্ক দিবসের সাধারণ ছুটি ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ছুটি ঘোষণার অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া, জাপান সরকার পূর্ব ঘোষিত ভ্রমণ ভর্তুকি কর্মসূচি ‘গো টু ট্রাভেল’ বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।
পূর্ব জাপান রেলওয়ে টোকিও মেট্রোপলিটন অঞ্চলে ১২টি রেলওয়ে এবং সাবওয়ে অপারেটর ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির পর্যন্ত রাত্রিকালীন ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৮৭ সালে পূর্ব জাপান রেলওয়ে চালু হওয়ার পর এই প্রথম নববর্ষে ট্রেন সার্ভিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন বছরের শুরুতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করেত এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবার জাপানে সাগরের দিক থেকে তুষারপাতও হচ্ছে। যা সাধারণত কয়েক দশকে একবারই হয়।
সবকিছু মিলিয়ে টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নর ইয়ুরিকো কোইকে সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে টোকিওতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আভাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাপানে এ পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ২,৩৩,৩৭১ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩,৪৬৬ জন।
Comments