বিনাদোষে কারাবাস: আরমানকে মুক্তি ও ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ হাইকোর্টের
মিরপুর বেনারশী পল্লীর টেকনিশিয়ান মো. আরমানকে ভুল করে গ্রেপ্তার করায়, তাকে অবিলম্বে মুক্তি ও ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ দিনের মধ্যে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একটি মাদক মামলার প্রকৃত অভিযুক্তের পরিবর্তে পুলিশ আরমানকে গ্রেপ্তার করায়, প্রায় চার বছর ধরে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এই জরিমানার টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, আরমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পল্লবী থানায় সে সময় দায়িত্ব পালনকারী চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে অন্যত্র বদলি করতে আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই চার পুলিশ কর্মকর্তা হলেন--ডিএমপি'র পরিদর্শক দাদন ফকির, ডিএমপি'র আদালত পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ও মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. রাসেল।
এ ছাড়া, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে এ নির্দেশনা মেনে এ বিষয়ে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৃথক প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম আর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাইকোর্ট পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ ঘটনা তদন্তের আদেশ দিয়ে, আরমানকে গ্রেপ্তারের রহস্য ও এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খোঁজ করে আদালতে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল অপর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করে মাদক মামলায় প্রকৃত আসামির পরিবর্তে কারাগারে বন্দি মো. আরমানকে কেন মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন।
আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মাদক মামলার মূল আসামি শাহাবুদ্দিন বিহারীর পরিবর্তে আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের উভয়ের বাবার নাম মো. ইয়াছিন।
Comments