কুয়াকাটার ১৮ জেলে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকার ১৮ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ আছেন।
মাছ ধরা ট্রলার এফবি আল-হাসানসহ গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তারা কুয়াকাটা সংলগ্ন মহিপুর মেসার্স মনোয়ারা ফিস ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে যায়। এরপর থেকে ট্রলারের কোনো জেলের সঙ্গে মালিক ও জেলেদের স্বজনরা যোগাযোগ করতে পারছেন না।
এ ঘটনায় গত ৩০ ডিসেম্বর ট্রলার মালিক হানিফ খলিফা মহিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আজ শুক্রবার কুয়াকাটার আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা ও ট্রলার মালিক হানিফ খলিফা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন- কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ট্রলার মাঝি মো. নজরুল ইসলাম (৬৪) (নজির মাঝি), মহিপুর সদর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের আল-আমিন (২১), বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোট বগি এলাকার শাকিল (১৪), শামিম (৩৮), তোফাজ্জেল হোসেন ফকির (৫২), রমজান তালুকদার (৫০), শাহ আলম (৪০), আজিজ (৪৩), খলিল (৩৯), হোসেন (৩৮) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাফিজুল্লাহ (৫০), কাশেম (৫০), ইউসুফ (৪২), বাবুল (৪২), আবুল কাশেম (৪২), কবির হোসেন (৪২), বাবলু (৪২) ও শ্রী জগন্নাথ (৪৮)।
নিখোঁজ নজরুল মাঝির ছেলে মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাবা সাগরে মাছ ধরতে ৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে ট্রলারে যান। কিন্তু, তারপরে আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা মিয়ানমারে ভেসে যেতে পারে অথবা ডাকাতের কবলে পড়তে পারে।’
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। বিষয়টি কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও, নিখোঁজ জেলেদের অনুসন্ধানে সাগরে ট্রলার পাঠানো হবে।’
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নিখোঁজ জেলেদের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
Comments