সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে ঢুকতেই পারলেন না বন কর্মকর্তারা

সাঙ্গু সংরক্ষিত বন ধ্বংসের খবরে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা বনেই প্রবেশ করতে পারেননি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

সাঙ্গু সংরক্ষিত বন ধ্বংসের খবরে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা বনেই প্রবেশ করতে পারেননি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

তদন্ত কমিটির সদস্য উপপ্রধান বন সংরক্ষক ড. মো. জগলুল হোসেন বলেন, ‘সাঙ্গু সংরক্ষিত বন ধ্বংস নিয়ে সম্প্রতি ডেইলি স্টারের সংবাদের ওপর প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।’

‘আমাদের জন্য এটি সত্যি খুব হতাশাজনক যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিজিবি সাঙ্গু সংরক্ষিত বনে আমাদের প্রবেশ করতে দেয়নি’, বলেন জগলুল হোসেন।

এ বিষয়ে বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী নাহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা ওনাদেরকে বলেছিলাম বিজিবির হেড কোয়ার্টার থেকে পারমিশন নেয়ার জন্য।’

উল্লেখ্য তদন্ত কমিটির সদস্য যাওয়ার খবরে সাঙ্গু রিজার্ভের গাছ পাচারকারীরা থানছির বিভিন্ন দুর্গম জায়গায় কেটে ফেলা গাছগুলো সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের বান্দরবান চ্যাপ্টার প্রধান জুয়ামলিয়ান আমলাই ।

তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাঙ্গু রিজার্ভের গাছ পাচারকারীরা তদন্ত কমিটির যাওয়ার খবরে থানছির ওয়াক চাক্কই ম্রো পাড়া, বাকলাই সড়ক এলাকাসহ বিভিন্ন দুর্গম জায়গায় কেটে ফেলা গাছগুলো সরিয়ে ফেলেছে।’

গাছ পাচারকারীরা সাঙ্গু রিজার্ভ থেকে কেটে ফেলা অনেক গাছ সাঙ্গু নদীর বিভিন্ন গভীর পয়েন্টেও লুকিয়ে রেখেছে বলেও জানান তিনি।

বান্দরবান বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া জানান, সাঙ্গু রিজার্ভের কোন গাছ তারা জব্দ করতে পারেননি।

‘আমরা প্রায় ১০০০ ফুটের মতো গাছ জব্দ করেছি যেগুলো সাঙ্গু রিজার্ভের গাছ নয়,’ বলেন তিনি।

আরও পড়ুন--

উজাড় হয়ে যাচ্ছে সাঙ্গু সংরক্ষিত বন

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

4h ago