রাজশাহীতে স্ত্রী ও ৫ মাস বয়সী শিশুকে হত্যা
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ফিরোজ মণ্ডল (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ও পাঁচ মাসের কন্যা শিশুকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোপালহাটি গ্রামের ফকিরপাড়া থেকে পলি বেগম (২৩) ও তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু ফারিহার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফিরোজ মণ্ডল মাদকাসক্ত। স্ত্রীর সোনার অলংকার নিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ তাকে আটক করেছে।’
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে যান ফিরোজ। রাত ১টার দিকে যখন ছেলে খাবারের জন্য কাঁদতে থাকে তখনই ঘটনা জানাজানি হয়। পাশের ঘর থেকে ফিরোজের বাবা-মা ছুটি এসে সব দেখে কান্নাকাটি শুরু করেন।’
রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফিরোজের ঘর লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পায়। ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যবান জিনিসপত্রের খোঁজে ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পলির কানে দুল ও নাকে নোলক ছিল, সেগুলো পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ ভোরে ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ফিরোজকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে দারুস সালাম থানায় রাখা হয়েছে। রাজশাহীতে নিয়ে আসার জন্য পুলিশের একটি দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
রেজাউল ইসলাম আরও বলেন, ‘ফিরোজ রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা আরপি এলিগেন্সে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন। অন্য সময়ে ইজিবাইক চালাতেন। বছর খানেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানোর পর পাল্টে যায় ফিরোজের জীবনের সমীকরণ। তিনি মাদকাসক্ত হয়ে উঠেন। একে একে বাড়ির সব মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করতে থাকেন। তার ইজিবাইকও বিক্রি করে দেন।’
Comments