রংপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে শৈত্যপ্রবাহ

ফাইল ছবি | অনুরূপ কান্তি দাস

পৌষ মাস শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছে শীত মৌসুম। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার আর শীত জেঁকে বসতে পারবে না। জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখের পরে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে। মাসের মাঝামাঝিতে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে (চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস) রূপ নিতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পূর্বাভাস থাকলেও এবার আর তেমন শৈত্যপ্রবাহ হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে ১০ তারিখের পরে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে।’

জানুয়ারি মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনো কখনো দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

বজলুর রশীদ আরও বলেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রংপুর বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বদলগাছীতে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯৮ দশমিক আট শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা ও পূবালী লঘুচাপের প্রভাব না থাকায় সব বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ১৮ থেকে ২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ১৯ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ডিসেম্বর মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক চার এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Brihatta’s quiet revolution in Hazaribagh

Essentially a research-based, artist-run, non-profit organisation, Brihatta Art Foundation has worked in Dhaka for quite some time. With an objective to integrate locals in community development, they have given the people of Hazaribagh greater accessibility to art and culture.

8h ago