খরচ তুলতে পারছে না পাবনার পেঁয়াজ চাষিরা

পাবনার সুজানগরে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার। ছবি: স্টার

গত দুই বছর দেশে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি থাকায় এ বছর পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছিলেন পাবনার কৃষকরা। অথচ বেশি লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষ করে এখন তারা খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম পড়ে চাষিরা বিপাকে পড়েছেন।

পাবনার সুজানগরে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা ভিড় করলেও পেঁয়াজের কাঙ্ক্ষিত দর ওঠেনি। উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে কৃষকরা পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম নির্ধারণের দাবি তুলছেন।

সুজানগরের টাটিপারা গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত বছর পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় বীজ সংকট দেখা দিয়েছিল। প্রায় ১০ গুণ বেশি দামে চার হাজার টাকা কেজি দরে প্রায় ১৬ কেজি পেঁয়াজের বাল্ব কিনে মাত্র দুই বিঘা জমিতে কন্দ পেঁয়াজ (মুড়িকাটা পেঁয়াজ) আবাদ করতে খরচ হয় ৯৫ হাজার টাকা। তিনি পেঁয়াজ তুলেছেন প্রায় ৯০ মণ। গত রোববার ২০ মণ বিক্রি করেছেন প্রতি মণ ১১০০ টাকা দরে। গত এক সপ্তাহে মণপ্রতি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা কমেছে। বাজার দর এমন থাকলে উৎপাদন খরচ তোলাও কঠিন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য বছর এক বিঘা জমিতে কন্দ পেঁয়াজ আবাদ করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এবার খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। পেঁয়াজ বীজ আর বাল্বের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

সুজানগর পেয়াজের পাইকারি বাজারের আড়তদার রশিদ বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের এখন যা দর সেটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

রশিদ জানান, গত বছর জানুয়ারির প্রথম দিকে নতুন পেঁয়াজ ওঠার সময় মণপ্রতি দাম ছিল সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। এই পরিস্থিতি থাকলে কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Former Narayanganj mayor Selina Hayat Ivy arrested

She was arrested around 5:45am today following a night-long raid at her Deobhog residence

1h ago