প্রবাস

টোকিওতে রেকর্ড করোনা শনাক্ত, আসছে জরুরি অবস্থা

করোনার তৃতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে টোকিওতে। প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা রেকর্ড ভাঙছে। আজ ৬ জানুয়ারি টোকিওতে নতুন করে আরও এক হাজার ৫৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
টোকিওতে প্রতিদিন করোনা শনাক্তের রেকর্ড ভাঙছে। ছবি: রয়টার্স

করোনার তৃতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে টোকিওতে। প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা রেকর্ড ভাঙছে। আজ ৬ জানুয়ারি টোকিওতে নতুন করে আরও এক হাজার ৫৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়াও, এক হাজার ১৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১১৩ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর। আজ জাপানব্যাপী ছয় হাজার এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

টোকিও ছাড়াও চিবা, সাইতামা, কানাগাওয়া, ওসাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে করোনা প্রকোপ আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার অন্যতম কারণ নববর্ষের লম্বা ছুটিতে কেনাকাটা করতে মলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। যদিও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বার বার ঘরে বসে পারিবারিকভাবে নববর্ষ উদযাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

গত বছরের শেষ দিন টোকিও এবং পার্শ্ববর্তী প্রদেশ কানাগাওয়া, চিবা এবং সাইতামার স্থানীয় সরকারগুলোর প্রশাসন থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি জরুরি অবস্থা ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

করোনা সংক্রমণ রোধে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রথম দাবি তোলেন টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নর ইয়ুরিকো কোইকে। বছরের শেষদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের প্রতি টোকিওসহ অধিক আক্রান্ত প্রদেশগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য কেন্দ্রের প্রতি আহবান জানান। ৩১ জানুয়ারি টোকিওতে রেকর্ড সংখ্যক এক হাজার ৩৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে কোইকে বলেন, বছর শেষের লম্বা ছুটিতে কেনাকাটায় জনসমাগম বৃদ্ধি পাওয়া করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। কোইকে রাজধানীবাসীদের এই ছুটিতে ঘরে অবস্থান করতে এবং অপ্রয়োজনে বহিরাগতদের রাজধানীমুখী না হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রদেশগুলোর গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরার সঙ্গে দেখা করে এ আহবান জানান। এসময় নিশিমুরা তাদের আহবানের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিবেচনার ইঙ্গিত দেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তার সিদ্ধান্ত জানাবেন হয়তো। আশা করা হচ্ছে ১০ জানুয়ারি থেকে চার সপ্তাহের জন্য টোকিও এবং চিবা, সাইতামা ও কানাগাওয়া প্রদেশগুলোতে জরুরি অবস্থা কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হবে।

জরুরি অবস্থা চলাকালীন রেস্তোরাঁ, পানশালা, সুপার মার্কেটগুলো রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার আহবান জানানো হবে। আহ্বান জানানো হবে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য। তবে, বাধ্য করা বা কোনো প্রকার বল প্রয়োগ করা হবে না। কারণ, জাপানে চলমান আইনে বল প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে, নির্ধারিত কোনো ব্যবস্থা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কোনো জরিমানা নেই।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে টোকিও এবং আরও ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে এটি দেশব্যাপী প্রসারিত করা হয়েছিল। তখনো মেনে চলতে বাধ্য করা হয়নি।

তবে সুগা বলেছেন, এ মাসে আইনি সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়ে সরকার তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে।

উল্লেখ্য জাপানে এ পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ২,৬০,১৫০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩,৮২১ জন। বছরের শুরু থেকে প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যা গড়ে ৫,০০০ অতিক্রম করে চলেছে।

[email protected]

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

India extends export curbs on onions until Mar 31 

India has extended the ban on the exports of onion till March next year with a view to increasing availability in domestic markets and to keep prices in check, according to a notification issued by the Directorate General of Foreign Trade yesterday. 

43m ago