যুক্তরাজ্যের আদালতে অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন নাকচ

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ফাইল ফটো

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত।

আজ বুধবার ডিস্ট্রিক্ট জাজ ভেনেসা ব্যারাইটসারের আদালত অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেন, 'বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে অ্যাসাঞ্জকে আজ মুক্তি দেওয়া হলে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এবং আপিল শুনানির মুখোমুখি হতে ব্যর্থ হবেন।'

কয়েকদিন আগে আদালত তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের মার্কিন আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের আবেদন খারিজ হওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্রের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা আছে।

৪৯ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ এখন লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে আছেন। ২০১২ সালে সুইডেন প্রত্যর্পণ এড়াতে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে প্রবেশের পর জামিন শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে সেখানে তিনি ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

গোপন সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য প্রকাশের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা হয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগে সর্বাধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।

২০১৯ সালের মে মাসে গোপন সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য প্রকাশে তার ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার গুপ্তচরবৃত্তি আইনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আরও ১৭টি মামলা করে। প্রতিটি মামলাতে তার ১০ বছর করে সাজা হতে পারে। অর্থাৎ, দোষী সাব্যস্ত হলে অ্যাসাঞ্জের ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভিযোগ, অ্যাসাঞ্জ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসিয়া ম্যানিংয়ের কাছ থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্তা, ইরাক যুদ্ধ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন এবং গুয়ান্তানামো বে বন্দিদের তথ্য নেয়।

তবে, অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী ও সমর্থকদের যুক্তি, তার বিরুদ্ধে প্রত্যর্পণের আদেশ ও অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এগুলো কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় শীতল প্রভাব ফেলবে।

Comments