জাপানে টোকিওসহ ৪ প্রদেশে জরুরি অবস্থা
জাপানে রাজধানী টোকিওসহ চারটি প্রদেশে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামীকাল ৮ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে। টোকিও ছাড়া বাকি তিন প্রদেশ হচ্ছে- সাইতামা, কানাগাওয়া এবং চিবা।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা জানান, এসব প্রদেশের স্থানীয় সরকারের আহ্বানের পর করোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শে এ উদ্যোগ নেওয়া হলো।
এ ছাড়া, ওসাকা এবং আইচি প্রদেশ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহবান জানানো হলেও বিশেষজ্ঞ প্রধান প্রফেসর অমি আপাতত সেখানে জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী উদ্যোগের ইঙ্গিত দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সুগা বলেন, ‘আজ টোকিওতে দুই হাজার ৪৪২ জনের (বিকেল ৩টা পর্যন্ত) শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এদের ১২১ জনের অবস্থা গুরুতর। নতুন করে মারা গেছেন ১০ জন। জাপানব্যাপী আজ শনাক্তের সংখ্যা চার হাজার ২০২ জন।’
জরুরি অবস্থা চলাকালে সুপার মার্কেট, হোটেল, পানশালা, সিনেমা হল, গেম সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্রগুলো রাত ৮টার মধ্যে বন্ধের আহবান জানানো হয়। এ্যালকোহল বেচাকেনার দোকান সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়। তবে, কম্বিনিয়ন স্টোরগুলো যথারীতি খোলা থাকবে।
করপোরেট অফিসগুলোকে ৭০ শতাংশ টেলিওয়ার্ক নির্ভর করতে আহ্বান জানানো হয়।
জরুরি অবস্থা চলাকালে সরকারের নানা প্রণোদনার ঘোষণা দেন সুগা। খণ্ডকালীন চাকরিজীবীরাও এ সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রতিদিন নানান ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ইয়েন পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সুগা বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদাভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের নীতিমালা অনুযায়ী চলবে। তবে, যুব সমাজের প্রতি আমার আহবান থাকবে আপনারা অভিভাবকের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারকে সহযোগিতা করুন। নিজেরা সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন।’
গত এক বছর ধরে সরকার নেওয়া উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানানোয় জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুগা।
তিনি বলেন, ‘আশাকরি আগামীতেও আপনারা সরকারের পাশে থাকবেন। তাহলে করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হব।’
সুগা বলেন, ‘ভ্যাকসিন পেতে আমাদের আর খুব দেরি করতে হবে না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন জাপান আসবে বলে আমি আশাবাদী।’
এর আগে, গত বছরের এপ্রিলে টোকিও এবং আরও ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। পরে এটি দেশব্যাপী প্রসারিত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, জাপানে এ পর্যন্ত মোট ২,৬৪,৩৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৩১ জন।
Comments