কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঢাকার কলাবাগানে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণের পর ‘ও’ লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী (১৭) ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী।

তার চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, সে আজ দুপুর ১টার দিকে ধানমন্ডির বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে যায়। সেখান থেকে তার এক বান্ধবী তাকে একটি বাসায় নিয়ে যায়।

‘সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়,’ বলেন শরিফুল।

ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘চারজন যুবক আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুম্মান জানান, তারা হাসপাতাল থেকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

রুম্মান বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, ‘আজ একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে, মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আমরা উদ্ধারকৃত মরদেহের আইন অনুযায়ী সুরতহাল করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমরা খবর পাই আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেলে এক কিশোরীর মরদেহ আছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা আমাদের জানালে আমরা দ্রুত রেসপন্স করি। আমরা সেখানে গিয়ে দেখতে পাই এক কিশোরীর মরদেহ আছে। তার সঙ্গে একজন ছিল।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা এক যুবককে আটক করেছি এবং তার তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কী জানতে পেরেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা এখন তদন্তের পর্যায়ে আছে। ছেলের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাসায় ছিল না। সে একাই ছিল। আমরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি, বিশেষ করে আর কেউ জড়িত আছে কি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবক জানিয়েছে, এ ঘটনায় সে একা জড়িত বলে জানিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে যুবকের বাসায়। আমরা সেখান থেকে আলামত জব্দ করেছি এবং সেগুলো প্রোফাইলিং করছি। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। যাতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করে তাকে কঠোর আইনের আওতায় আনতে পারি।’

‘ঘটনাস্থল থেকে আমরা আলামত জব্দ করেছি, পুলিশ ভুক্তভোগীর শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি,’ বলেন তিনি।

তবে, ভুক্তভোগীর মায়ের দাবি, তিনি তার মেয়ের হাতে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt at it again, plans to promote retirees

"A list of around 400 retired officials is currently under review though it remains unclear how many of them will eventually be promoted"

7h ago