যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় শত্রু, পরমাণু অস্ত্র ও সামরিক শক্তি বাড়াবে উ. কোরিয়া: কিম
যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তর কোরিয়ার ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে এবং এমনটা তিনি প্রত্যাশাও করেন না।’
আজ শনিবার বিবিসি জানায়, সর্বশেষ বক্তৃতায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রাগার ও সামরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়টিও জানিয়েছেন কিম। ইতোমধ্যেই নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের পরিকল্পনা অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পরই কিমের কাছ থেকে এমন মন্তব্য এলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, কিম জং উন এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।
বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি সামান্য হলেও, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়টি উপভোগ করেছেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেওয়া সর্বশেষ বক্তৃতায় কিম বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় না, যদি না কোনো বৈরি শক্তি প্রথমে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে বিপ্লবের পক্ষে সবচেয়ে বড় বাধা ও আমাদের বৃহত্তম শত্রু যুক্তরাষ্ট্র। যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তার নীতি ও উদ্দেশ্য কখনোই বদলাবে না।’
তিনি দূরপাল্লার শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইলসহ কাঙ্ক্ষিত অস্ত্রের একটি তালিকার কথাও বক্তৃতায় জানান।
কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরেও পারমাণবিক অস্ত্র ও সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে, সপ্তাহের শুরুতে উত্তর কোরিয়ায় তার পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেন কিম।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরের জানুয়ারিতেই দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে এখনও পর্যন্ত কেউ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হননি বলে দাবি করা হচ্ছে।
Comments