৪০ টন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা
পাবনার নয়টি উপজেলায় সরিষা ফুলে ভরে গেছে মাঠ। ভাংগুরা উপজেলার কৃষক রেজাউল করিম প্রতিবছর এক বা দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতেন। গতবছর ফলন ভালো হওয়ায় এবার তিনি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। রেজাউল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমি থেকে সাড়ে চার মণ সরিষা পাওয়া যায়। গতবছর খেতের পাশে মৌ চাষিরা বকশো বসানোয় পরাগায়ন ভালো হয়েছিল। যে কারণে প্রায় ছয় মণ সরিষা উৎপাদিত হয়েছে। কোনো অতিরিক্ত খরচ করতে হয়নি।’
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় ৩১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হচ্ছে। জেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে, এ বছর সরিষার উৎপাদন গতবছরের চেয়ে বেশি হবে। প্রায় ৪৩ হাজার মেট্রিক টন সরিষা পাওয়া যেতে পারে।’
পাবনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। খেতে মাঝে মাঝে বসানো হয়েছে মৌ মাছির বাকশো। মৌ চাষিরা জানান, সরিষার ফুল প্রায় দুই মাস জমিতে থাকে। এই দুই মাস সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় সরিষা খেতে প্রায় ৩৫ হাজার মৌ মাছির বাকশো স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যাশা করছি, পাবনা থেকে এবার প্রায় ৪০ টন মধু পাওয়া যাবে। মৌ মাছির বাকশো স্থাপন করায় যেমন মধু পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে সরিষার উৎপাদনও বেড়েছে।’
উত্তরবঙ্গ মৌ চাষি সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর পাবনা থেকে এক শ টন মধু আহরণ করা সম্ভব হবে।’
Comments