ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচটি স্থগিত করা উচিৎ ছিল: জিদান

বিরূপ আবহাওয়ার জন্য আগের দিন শনিবার অ্যাথলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে শীর্ষে থাকা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচটি স্থগিত রাখা হয়েছে। অথচ প্রায় একই ধরণের পরিস্থিতিতে খেলতে হয়েছে ওসাসুনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি খেলোয়াড়রা। ফলাফলেও পড়েছে এর প্রভাব। তাতেই বেজায় চটেছেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান।
ছবি: রয়টার্স

বিরূপ আবহাওয়ার জন্য আগের দিন অ্যাথলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে শীর্ষে থাকা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচটি স্থগিত রাখা হয়েছে। অথচ প্রায় একই ধরণের পরিস্থিতিতে খেলতে হয়েছে ওসাসুনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি খেলোয়াড়রা। ফলাফলেও পড়েছে এর প্রভাব। তাতেই বেজায় চটেছেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান।

শনিবার রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। স্বাভাবিক সবুজ মাঠ এদিন ছিল সাদা তুষারে ঢাকা। খেলোয়াড়দের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের ইনজুরি ঝুঁকিও ছিল প্রবল। সবমিলিয়ে তাই নিজেকে শান্ত রাখতে পারেননি জিদান। অথচ ম্যাচে হারলেও সাধারণ প্রতিপক্ষ কিংবা রেফারিং নিয়ে খুব একটা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় না এ কোচকে। শান্ত স্বভাবের সেই কোচই ধরে রাখতে পারলেন না নিজেকে।

'আমরা সবকিছু খুব বাজেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি। এ মাঠে যেমন করা উচিৎ ছিল তাই করেছি। এটা ফুটবল মাঠই ছিল না। আমার মনে হয়, আমাদের খেলাই উচিত হয়নি। এটা অবশ্যই স্থগিত করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই খেলা শেষ হয়ে গেছে। ফুটবল ম্যাচের জন্য আদর্শ কন্ডিশন ছিল না। আমি আবারও বলছি, কারণ এমনটাই ছিল।' - ক্ষোভ উগলে দিয়ে এমনটাই বলেন রিয়াল কোচ।

তার উপর স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রস্তুতি নিতে ম্যাচ শেষে রাতেই পাম্পলোনাতেই থেকে রাজধানীতে ফিরতে চেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু বারাজাস বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় তাদের। স্বাভাবিকভাবে এটাও পছন্দ হয়নি জিদানের, 'আগের দিন যা ঘটেছে, আজ যা ঘটেছে, আমরা এখানে থাকছি… দেখা যাক কাল (রোববার) ফিরে যেতে পারি কি না, কিংবা সোমবার। আমি জানি না, কি হবে।'

উল্লেখ্য, আগের দিন ওসাসুনার সঙ্গে জিততে না পেরে শীর্ষে ওঠার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে রিয়াল। ১৮ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। অন্যদিকে তিন ম্যাচ খেলেও এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাতলেতিকো।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago