মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে বাংলাদেশির কারাদণ্ড

মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে এক বাংলাদেশি নাগরিককে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ পরবর্তী তিন বছরের জন্য পর্যবেক্ষণের আওতায় মুক্ত রাখার দণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।
USA-MEXICO.jpg
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে হেলিকপ্টার ও সেনাটহল। ছবি: রয়টার্স

মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে এক বাংলাদেশি নাগরিককে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ পরবর্তী তিন বছরের জন্য পর্যবেক্ষণের আওতায় মুক্ত রাখার দণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মোক্তার হোসেন নামের বাংলাদেশি ওই নাগরিক এর আগে মেক্সিকোর মন্টেরিতে বসবাস করতেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মোক্তার হোসেন স্বীকার করেছেন যে, তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।

গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত এক বিবৃতি আজ রোববার পাঠিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।

অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মেক্সিকোর মন্টেরি থেকে পাচার কাজ পরিচালনা করতেন এবং সেখানে তিনি একটি হোটেলের ব্যবস্থাও করেছিলেন, যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে আশ্রয় নিত বহিরাগতরা। এরপর কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে, সে বিষয়ে বহিরাগতদের পরামর্শ এবং যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি চালকদের টাকা দিতেন মোক্তার।

মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি বার্নস বলেন, ‘মামলার আসামি (মোক্তার হোসেন) একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, যিনি লাভের জন্য কাজ করতেন এবং অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের শিকারে পরিণত করতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বিদেশিদের প্রবেশ করিয়ে যারা আমাদের সীমান্তগুলোর সুরক্ষা হ্রাস করতে চায়, এই দণ্ডাদেশ তাদের জন্য একটি সুস্পষ্ট প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।’

টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার জন্য নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিক বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষা এবং জাতীয় সুরক্ষা একই বিষয়। আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কারা আমাদের দেশে প্রবেশ করছে। অবৈধ প্রবেশ বন্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার কার্যালয় সহযোগী সব সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করছে।’

সান অ্যান্টোনিওর যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের (এইচএসআই) ভারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রতিনিধি শেন ফোল্ডেন বলেন, ‘মোক্তার হোসেনের অপরাধের তদন্ত, বিচারকাজ ও দণ্ড প্রদানের বিষয়টি তদন্তকাজ সমন্বয়ে এইচএসআইর বিশেষ সক্ষমতার ফলাফল।’

‘দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী অপরাধমূলক মানবপাচার নেটওয়ার্কগুলোকে শক্ত হাতে নির্মূল করতে এইচএসআই দেশিয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে’, বলেন ফোল্ডেন।

স্থানীয় অ্যাটর্নির কার্যালয়ের সহায়তায় মোক্তার হোসেনের মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন ক্রিমিনাল ডিভিশনের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড স্পেশাল প্রসিকিউশনস সেকশনের ট্রায়াল অ্যাটর্নি জেমস হেপবার্ন এবং এরিন কক্স।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

31m ago