চ্যালেঞ্জিং হলেও ফাইজারের ভ্যাকসিন নেবে বাংলাদেশ

Pfizer_Vaccine_12Dec20.jpg
ছবি: সংগৃহীত

মাইনাস ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট সিরিঞ্জের সরবরাহ নিশ্চিত করার মতো চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শিগগির ভ্যাকসিন বিতরণের বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ কোভ্যাক্সকে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাবে।

এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, যা সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তুলনায় অনেক কম। ফলে এই ভ্যাকসিন বিতরণ জটিল হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমাদের এই ভ্যাকসিন গ্রহণের ইচ্ছা আছে এবং এই সুযোগ ছেড়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা এই ভ্যাকসিন সরবরাহ, বিতরণ এবং সংরক্ষণ সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা জমা দেওয়ার কাজ করছি।’

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন বলে গতকাল রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান তিনি।

সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যমান কোল্ড চেইন সরঞ্জামগুলো মূল্যায়ন করছেন তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স গ্যাভি-এর নেতৃত্বে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার এবং জার্মানিয়ের বায়োএনটেকের তৈরি প্রায় চার লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

কোভ্যাক্স এ বছরের মধ্যে অন্তত ১৭২টি দেশে মোট ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ওষুধ শিল্পের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সরঞ্জাম রয়েছে। তবে এই সরঞ্জামের সবগুলো এই ভ্যাকসিনের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।

অনেকে জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শূন্য দশমিক তিন (০.৩) মিলি সিরিঞ্জ দেশে পাওয়া যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সিরিঞ্জের সম্ভাব্য উত্স খুঁজছি। কারণ এগুলো ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিতে হবে।’

মহাপরিচালক খুরশিদ আলমও স্বীকার করেছেন যে একটি ০.৩ মিলি সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য যথেষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন।

কোভ্যাক্স গত ২ জানুয়ারি চিঠি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশ অংশ নেবে কি না। ১৯২টি দেশে অনুরূপ চিঠি দিয়েছে কোভ্যাক্স। আগ্রহী দেশগুলো জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন পাবে।

কোভ্যাক্সের চিঠিতে বলা হয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের বিনামূল্যের ভ্যাকসিনগুলো অবশ্যই সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের দিতে হবে। বাংলাদেশ এ শর্তে রাজি হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিনের বেশিরভাগ ঢাকা শহরে ব্যবহৃত হবে। কারণ রাজধানীর বাইরে এগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাওয়া যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেবলমাত্র জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন তালিকাভুক্ত করেছে।

আমেরিকা, কানাডা, কাতার, বাহরাইন এবং মেক্সিকোসহ বেশ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটি দেওয়া শুরু হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

1h ago