কৃষক বিদ্রোহ: কেন্দ্রের কঠোর সমালোচনা ও আইন স্থগিতের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই আইনের বিরুদ্ধে চলমান কৃষক বিদ্রোহে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
পাঞ্জাবে কৃষকদের আন্দোলন। ছবি: রয়টার্স

ভারতের বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই আইনের বিরুদ্ধে চলমান কৃষক বিদ্রোহে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।

আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস বিষয়টি জানায়।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিতর্কিত নতুন কৃষি আইন বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার। যাতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে যারে।

প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশনের শুনানির সময় বলেন, ‘আমাদের বলুন আপনারা আইন স্থগিত রাখবেন কিনা, না হলে আমরা তা করব। এখানে প্রেস্টিজ ইস্যুটা কী?’

দ্য ইকোনমিক টাইমস জানায়, এ নিয়ে একদিনের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ পাস করতে পারেন আদালত। এছাড়াও, কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হতে পারে। যারা নতুন আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। আর ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকতে পারেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা।

প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন, ‘কৃষকরা শীতে মারা যাচ্ছে, তারা আত্মহত্যা করছে। আমরা জানি না কী আলোচনা হচ্ছে। আপনারা আইন বন্ধ করতে পারেন না কেন?’

আদালত বলেছেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনার অনুমতি দেওয়ার সময় পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া গঠিত হয়নি।

আদালত বলেন, ‘আমরা দুঃখিত যে আপনারা সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। আমরা মনে করি না আপনারা এটা সঠিকভাবে সামলাচ্ছেন অথবা আপনারা তা করতে কার্যকর।’

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের জন্য আরও সময় চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা আপনাদের দীর্ঘ সময় দিয়েছি, জনাব অ্যাটর্নি জেনারেল দয়া করে আমাদের ধৈর্যের ওপর বক্তৃতা দেবেন না।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, কৃষকদের অব্যাহত এই বিক্ষোভ অপ্রতিরোধ্য। কারণ, এটি কোনো ছোট ঘটনা নয়।

আদালত জানান, আইন বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার পরেও বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে।

প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, ‘যদি এই বিক্ষোভ চলতে থাকে এবং এর ফলে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাহলে রক্তপাতের দায় কে নেবে?’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি পুলিশ নজরদারি করবে জানিয়ে আদালত বলেন, ‘আমরা কোনো আইন ভঙ্গকারীদের রক্ষা করতে যাচ্ছি না। আমরা সম্পদ ও প্রাণহানি রোধ করতে চাই।’

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago