পিরোজপুরে স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় স্কুল শিক্ষক সমীরণ মজুমদারকে হত্যার দায়ে তিন জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Pirojpur.jpg
রায় ঘোষণার পর আসামিদের আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: স্টার

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় স্কুল শিক্ষক সমীরণ মজুমদারকে হত্যার দায়ে তিন জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিকালে পিরোজপুরের দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন। এসময় এই তিন জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাজিরপুরের পশ্চিম বানিয়ারী গ্রামের চিত্তরঞ্জন রায়ের ছেলে দীপঙ্কর রায় (৩৪), বজলুর রহমান শেখের ছেলে খোকন শেখ (২৮) এবং মৃত দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে নুরু শেখ (৩৪)। এ মামলায় ৮ আসামির মধ্যে পাঁচ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া, সমীরণের স্ত্রী স্বপ্নাকে কুপিয়ে জখম করার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন জনের প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় দীপঙ্কর বাদে অন্য সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দীপঙ্কর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ উপজেলার পশ্চিম বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমীরণ মজুমদারের ঘরে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এরপর সে সমীরণ (৪৫) এবং তার স্ত্রী স্বপ্নাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরবর্তীতে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সমীরণ। এ ঘটনায় পরের দিন স্বপ্না বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী দীপঙ্করের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সমীরণকে হত্যা করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago