ভারত সীমান্ত থেকে চীনের ১০ হাজার সেনা প্রত্যাহার

চীন-ভারতের বিতর্কিত সীমান্ত থেকে গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত দশ হাজার সেনা প্রত্যাহার করেছে চীন। এই শীতে হিমালয় সীমান্তে সংঘাতের তেমন সম্ভাবনা না থাকায় চীন সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
China.jpg
তিব্বত সীমান্তে চীনা সেনাদের টহল। ছবি: সংগৃহীত

চীন-ভারতের বিতর্কিত সীমান্ত থেকে গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত দশ হাজার সেনা প্রত্যাহার করেছে চীন। এই শীতে হিমালয় সীমান্তে সংঘাতের তেমন সম্ভাবনা না থাকায় চীন সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

চীনা সামরিক বাহিনীর এক সূত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে জানায়, ‘দুই সপ্তাহেরও আগে এই সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু হয়। সেনাদের সামরিক যানে করে নিয়ে আসা হয়েছে, যেন ভারত তা দেখতে পায়।’

১০ হাজার সেনা এক বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর সেখান থেকে ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন এখন নিশ্চিত যে, হিমালয়ের এতো শীতল আবহাওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘাত অসম্ভব, জানায় সূত্র।

মূলত জিনজিয়াং ও তিব্বতের সামরিক ইউনিটের সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

সূত্র আরও জানায়, ‘বিশ্রামের জন্য সেনাদের ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ১০ হাজার সেনাকেই এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্রন্টলাইনে ফিরে আসতে হবে।’

দাপ্তরিক সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও লাদাখের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১০ হাজার চীনা সেনা প্রত্যাহারের খবর জানিয়েছে। একে কয়েক দশকের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক সহজ করার লক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছর জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুপক্ষের সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা ও অজ্ঞাত সংখ্যক চীনা সেনা নিহত হওয়ার পর, সেখানে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছিল।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আলোচনার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংকট সমাধান হবে।

‘আমি একটি ইতিবাচক পরিস্থিতির জন্য খুব আশাবাদী’, নারাভানেকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়।

দুই দেশ লাদাখ সীমান্তের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল এলাকায় বিতর্কিত পয়েন্টগুলোতে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago