দ্বিতীয় সারির দল হওয়াতেই বরং কাজটা সহজ উইন্ডিজের!
শেষবার সেরা দল নিয়ে এসেও বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই জায়গায় শীর্ষ দশ ক্রিকেটারকে ছাড়া নিশ্চিতভাবে তাদের আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার কথা। কিন্তু কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, বেশিরভাগ ক্রিকেটার নতুন হওয়াতেই বরং কাজটা হবে সহজ! সিরিজ জিততে নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার বারুদ জ্বালিয়ে দেওয়া যাবে সবার বুকে।
গত রবিবার বাংলাদেশে এসে হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে আছে উইন্ডিজ। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হলে দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষার পর নিজেদের মধ্যে অনুশীলনের সুযোগ পাবে তারা।
তার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে সিমন্স স্বীকার করলেন ঘরের মাঠে হওয়ায় পরিস্কার ফেভারিট বাংলাদেশ। এরপর শোনালেন তার দল নিয়ে বড় আশাবাদের কথা, ‘আমরা ওয়ানডে সিরিজ জেতার জন্য ক্যারিবিয়ান (দ্বীপপুঞ্জ) ছেড়ে এখানে এসেছি। আপনি বলতে পারেন, আমাদের পুরো শক্তি নেই। কিন্তু আমরা এমন একটা দল নিয়ে এসেছি, যারা খুব ক্ষুধার্ত, ভালো করতে চায়, খেলার জন্য মরিয়া, লড়তে চায় এবং কন্ডিশনের বাধা সরাতে চায়।’
ক্যারিবিয়ান কোচ মনে করেন, দলে নতুনের ছড়াছড়ি থাকায় তাদের অনুপ্রাণিত করা হবে সহজ। কারণ, প্রত্যেকেই চাইবে মূল দলে একটা জায়গা পাকা করতে, ‘এই ছেলেদের অনুপ্রাণিত করা কঠিন না। এখানে যারা আছে, তাদের সবাই সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। তারা জায়গা দখল করতে চায়। আগেও বলেছি, সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে এই বছর। সবাই সেদিক থেকে বেশ অনুপ্রাণিত।’
ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বের ভার পাওয়া জেসন মোহাম্মদের আছে কেবল ২৮ ম্যাচের অভিজ্ঞতা। বাকিরাও অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে। সিমন্সের মত, অভিজ্ঞতা হার মানবে তারুণ্যের জেতার জেদের কাছে, ‘অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কিছু কিছু সময় উৎসাহ এবং জয়ের ক্ষুধা অভিজ্ঞতাকে পরাস্ত করে। আর আমাদের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও রয়েছে।’
Comments