ব্রিসবেনে ‘জেলখানায়’ রাহানেরা, পরিষ্কার করতে হচ্ছে টয়লেটও!

করোনাভাইরাস ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকারের কড়াকড়ির কারণে রুম সার্ভিসবিহীন হোটেলে উঠে কল্পনাতীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
ফাইল ছবি

সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে ব্রিসবেনে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। করোনাভাইরাস ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকারের কড়াকড়ির কারণে রুম সার্ভিসবিহীন হোটেলে উঠে কল্পনাতীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

অস্ট্রেলিয়ার অন্য যেকোনো রাজ্য থেকে আসা ভ্রমণকারীদের কুইন্সল্যান্ডে ঢুকলেই কোয়ারেন্টিনে থাকার কড়া নিয়ম আছে। সেই ধারায় ভারতীয় দলকেও একটুও ছাড় দিতে রাজী হচ্ছিল না রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের এক কক্ষ থেকে আরেক কক্ষে যেতে দিতে সম্মত হলেও হোটেলের অন্য কোনো সেবা দেওয়া হচ্ছে না।

বুধবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আজিঙ্কা রাহানেরা নিজেদেরকে জেলবন্দির মতো মনে করছেন। পুরো হোটেলে ভারতীয় দল ছাড়া আর কেউ না থাকলেও তাদেরকে কোথাও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ আছে জিম, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং সুইমিংপুলও।

ক্রিকেটারদের খাবার আসছে বাইরের একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে। ভারতীয় গণমাধ্যমে এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, বিছানা ব্যবহার করা ছাড়া হোটেলের কোনো রকমের সেবা তারা পাচ্ছেন না, ‘আমরা একদম বন্দি অবস্থায় আছি। সব কাজ নিজেদেরই করতে হচ্ছে। টয়লেট পরিষ্কার থেকে বিছানা পরিষ্কার, সবই করছি। একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আমাদের ফ্লোরে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ফ্লোরের বাইরে আমরা বের হতে পারছি না। মনে হচ্ছে, কারাগারে বন্দি আছি।’

এমন অবস্থায় বোর্ডের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। দেশটির গণমাধ্যমগুলোর খবর, বিসিসিআই এরই মধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানে যোগাযোগ শুরু করেছে। তবে কুইন্সল্যান্ডের হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই কড়াকড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই তাদের। অস্ট্রেলিয়া দলের জন্যও একই ব্যবস্থা।

আগামী ১৫ জানুয়ারি ব্রিসবেনে শুরু হবে বোর্ডার- গাভাস্কার সিরিজের শেষ টেস্ট। আগের তিন টেস্টের প্রথমটি অস্ট্রেলিয়া জিতলেও পরেরটি জিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে অসাধারণ দৃঢ়তায় ম্যাচ ড্র করে সিরিজের রোমাঞ্চ জিইয়ে রেখেছে সফরকারীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

2h ago