করোনার চিকিৎসায় আশা দেশীয় উদ্ভাবন ‘ন্যাজাল স্প্রে’

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিকেল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক দল বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মিলে একটি ‘ন্যাজাল স্প্রে’ উদ্ভাবন করেছেন, যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিকেল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক দল বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মিলে একটি ‘ন্যাজাল স্প্রে’ উদ্ভাবন করেছেন, যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।

বঙ্গসেফ নামের ওই স্প্রেটি নাকে ও মুখে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা আরও জানিয়েছেন, গত বছরের মে থেকে অক্টোবরে তারা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। ২০-৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষের অনুপাতিক হার ছিল ৭০:৩০।

বিআরআইসিএমের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মালা খান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা ট্রায়াল পরিচালনা করেছি এবং এর ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক।’

স্প্রেটি কীভাবে কাজ করে, জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, প্রাথমিকভাবে ভাইরাস মূলত ন্যাসোফ্যারিংস ও ওরোফ্যারিংসে অবস্থান করে এবং এই পথ দিয়েই মানবশরীরের প্রবেশ করে। তিন ঘণ্টা পর পর তাদের উদ্ভাবিত স্প্রেটি ব্যবহার করলে সেসব পথে থাকা ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। ‘ভাইরাসের পরিমাণ যত বেশি, সেই অনুযায়ী সংক্রমণ আরও তীব্র হওয়ার ঝুঁকিও ততটা বেশি’, বলেন তিনি।

বিআরআইসিএম ভারপ্রাপ্ত এই মহাপরিচালক আরও দাবি করেন, তাদের উদ্ভাবিত এই সল্যুশনটির মূল সুবিধা হলো এটি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রতিরোধে সক্ষম।

তিনি জানান, তারা ইতোমধ্যে পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন এবং আনুষ্ঠানিক ট্রায়ালের জন্য বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের কাছে আবেদন করবেন।

গবেষণা দলটিতে মোস্তফা কামাল আরেফিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি ও সুলতানা শাহানা বানুসহ ১২ জন সদস্য রয়েছেন।

বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রেটির আনুমানিক মূল্য হবে প্রতি ২৫ মিলির বোতল ১০০ টাকা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই স্প্রেটি উদ্ভাবনের বিষয়টি সামনে আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এমপি ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিআরআইসিএম কমিটিকে বলেছে যে, তারা “কোভোডিন আয়োডিন সল্যুশন” উদ্ভাবন করেছে, যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।’

কমিটি বিআরআইসিএমকে বলেছে, সল্যুশনটির বিষয়ে পরবর্তী গবেষণা এবং আরও বেশি মানুষের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে।

আ ফ ম রুহুল হক জানান, তারা যতদূর জানেন, এ রকমের স্প্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশে নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Independents all-time high

The number of independent aspirants submitting nomination papers for the upcoming national polls is at an all time high.

5h ago