যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া

তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনী স্বল্প পাল্লার নৌ-ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া শুরু করেছে।
ইরানের তৈরি যুদ্ধজাহাজ মাকরান। ছবি: সংগৃহীত

তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনী স্বল্প পাল্লার নৌ-ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া শুরু করেছে।

আজ বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী রয়েছে ইরানের। এই ধরনের অস্ত্রকে যুদ্ধের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধমূলক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ওমান উপসাগরে দুই দিনব্যাপী এই মহড়ায় ইরানের তৈরি যুদ্ধজাহাজ মাকরান ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী জাহাজ জেরেহ অংশ নিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে মাকরানকে ইরানের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ত্যাগ করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক প্রক্সি বাহিনীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে ইরানের ওপর চাপ তৈরির জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে যুক্তরাষ্ট্র।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরান এবং মার্কিন বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে। যেখানে তেহরান ‘বিদেশি হুমকি’ মোকাবিলায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের বার্ষিক অনুশীলনের আয়োজন করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা ইরানের অর্থ নিয়ে টানপোড়েনের কারণে গত সপ্তাহে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস উপসাগরীয় জলসীমা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার আটক করে এবং নাবিকদের আটক করে।

২০১৯ সালের প্রথম দিকে, জিব্রালটার উপকূলে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ একটি ইরানি ট্যাংকার আটকের দুই সপ্তাহ পর ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার আটক করে বিশ্বের ব্যস্ততম এই তেল পরিবহন পথে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে ইরান।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago